6. কাজেই তারা দু’জনে খাওয়া-দাওয়া করবার জন্য বসল। মেয়েটির বাবা বলল, “আজ রাতটা থাক এবং একটু আমোদ-প্রমোদ কর।”
7. সে যাবার জন্য প্রস্তুত হলেও তার শ্বশুর যখন তাকে অনুরোধ করল তখন সে সেই রাতটাও সেখানে থাকল।
8. পঞ্চম দিনের ভোরবেলা সে যখন যাবার জন্য ঘুম থেকে উঠল তখন মেয়েটির বাবা তাকে বলল, “খাওয়া-দাওয়া কর, আর বিকাল পর্যন্ত থেকে যাও।” কাজেই তারা দু’জনে খাওয়া-দাওয়া করল।
9. তারপর যখন সেই লোকটি তার উপস্ত্রী এবং চাকরকে নিয়ে চলে যাবার জন্য প্রস্তুত হল তখন তার শ্বশুর বলল, “দেখ, এখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে, রাতটা এখানেই কাটাও; বেলা তো প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এখানেই থাক এবং আমোদ-প্রমোদ কর। কাল খুব ভোরে উঠে তোমার বাড়ীর পথে রওনা হয়ে যেয়ো।”
12. জবাবে তার মালিক তাকে বলল, “না, যারা ইসরাইলীয় নয় তাদের শহরে আমরা যাব না। আমরা বরং এগিয়ে গিয়ে গিবিয়াতে যাব।”
13. সে আরও বলল, “চল, আমরা গিবিয়াতে কিংবা রামাতে পৌঁছাবার চেষ্টা করি এবং রাতটা ঐ শহর দু’টার একটাতে কাটাই।”
14. কাজেই তারা চলতেই থাকল। বিন্ইয়ামীন এলাকার গিবিয়ার কাছে পৌঁছাতেই সূর্য ডুবে গেল।
15. রাতটা কাটাবার জন্য তখন তারা পথ ছেড়ে গিবিয়াতে গেল আর শহর-চকে গিয়ে বসল, কিন্তু রাত কাটাবার জন্য কেউ নিজের বাড়ীতে তাদের ডেকে নিল না।
16. সেই দিন সন্ধ্যাবেলা আফরাহীমের পাহাড়ী এলাকার একজন বুড়ো লোক তার ক্ষেতের কাজের পর গিবিয়া শহরে ঢুকল। সে গিবিয়াতে বাস করত, কিন্তু সেখানকার লোকেরা ছিল বিন্যামীন-গোষ্ঠীর লোক।
17. শহর-চকে সেই পথিককে দেখে বুড়ো লোকটি জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কোথায় যাবে আর কোথা থেকেই বা এসেছ?”
18. জবাবে সে বলল, “আমরা এহুদার বেথেলহেম থেকে এসেছি আর আফরাহীমের পাহাড়ী এলাকার ভিতরে যাব। আমার বাড়ী সেখানেই। আমি এহুদার বেথেলহেমে গিয়েছিলাম আর এখন আমি মাবুদের ঘরে যাচ্ছি, কিন্তু কেউ আমাকে তার বাড়ীতে ডেকে নিচ্ছে না।
19. আমাদের গাধার জন্য খড় ও ভূষি আমাদের কাছে আছে এবং আমার জন্য ও আপনার এই বাঁদীর জন্য এবং আমাদের সংগেকার এই যুবকটির জন্য রুটি এবং আংগুর-রসও আছে। আপনার গোলামদের আর কিছুরই দরকার নেই।”
20. তখন সেই বুড়ো লোকটি বলল, “তোমার শান্তি হোক। তোমার যা কিছু দরকার তার ভার আমার উপর রইল। কিন্তু রাতটা তোমরা কিছুতেই এই চকে কাটায়ো না।”
21. এই বলে বুড়ো লোকটি তার বাড়ীতে তাদের নিয়ে গেল এবং তাদের গাধাগুলোকে খেতে দিল। তারা পা ধুয়ে খাওয়া-দাওয়া করল।
22. এইভাবে যখন তারা আরামে সময় কাটাচ্ছিল তখন শহরের কয়েকজন দুষ্ট লোক এসে বাড়ীটা ঘেরাও করল। তারা দরজায় আঘাত করতে করতে বাড়ীর মালিক, অর্থাৎ সেই বুড়ো লোকটিকে বলল, “যে লোকটি তোমার বাড়ীতে এসেছে তাকে বের করে দাও। আমরা তার সংগে জেনা করব।”
23. তখন বাড়ীর মালিক বাইরে বের হয়ে তাদের বলল, “না না, আমার ভাইয়েরা; মিনতি করি, এমন জঘন্য কাজ তোমরা কোরো না। ঐ লোকটি আমার মেহমান; এই খারাপ কাজ তোমরা কোরো না।
24. আমার অবিবাহিতা মেয়ে এবং লোকটির উপস্ত্রী এখানে রয়েছে। আমি এখনই তাদের তোমাদের কাছে বের করে আনছি। তোমরা তাদের ইজ্জত নষ্ট কর এবং তোমাদের যা ইচ্ছা তা-ই তাদের প্রতি কর, কিন্তু এই লোকের উপর তোমরা এই খারাপ কাজ কোরো না।”
25. তবুও তারা তার কথা শুনতে রাজী হল না। তখন সেই লোকটি তার উপস্ত্রীকে ধরে বাইরে তাদের কাছে বের করে দিল। তারা সারারাত ধরে জোর করে তার সংগে জেনা করল এবং তার শরীরের উপর অত্যাচার করল। তারপর তারা ভোরের দিকে তাকে ছেড়ে দিল।
26. অন্ধকার যখন কেটে যাচ্ছিল তখন সেই স্ত্রীলোকটি ফিরে গিয়ে তার স্বামী যেখানে ছিল সেই বুড়ো লোকের বাড়ীর দরজার সামনে পড়ে গেল। সূর্য না ওঠা পর্যন্ত সে সেখানেই পড়ে রইল।
27. সকালবেলায় তার স্বামী উঠে যাত্রা করবার জন্য যখন ঘরের দরজা খুলে বের হল তখন দেখতে পেল যে, তার উপস্ত্রী ঘরের দরজার চৌকাঠের উপর হাত রেখে পড়ে আছে।