কাজীগণ 19:4-19 Kitabul Mukkadas (MBCL)

4. মেয়েটির বাবা তাকে সেখানে থাকবার জন্য অনুরোধ করল। তাতে সে তার শ্বশুর বাড়ীতে তিন দিন থাকল এবং খাওয়া-দাওয়া করল।

5. চতুর্থ দিনে তারা খুব সকালে উঠে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হল কিন্তু তার শ্বশুর তাকে বলল, “আগে খাওয়া-দাওয়া কর, তারপর যেয়ো।”

6. কাজেই তারা দু’জনে খাওয়া-দাওয়া করবার জন্য বসল। মেয়েটির বাবা বলল, “আজ রাতটা থাক এবং একটু আমোদ-প্রমোদ কর।”

7. সে যাবার জন্য প্রস্তুত হলেও তার শ্বশুর যখন তাকে অনুরোধ করল তখন সে সেই রাতটাও সেখানে থাকল।

8. পঞ্চম দিনের ভোরবেলা সে যখন যাবার জন্য ঘুম থেকে উঠল তখন মেয়েটির বাবা তাকে বলল, “খাওয়া-দাওয়া কর, আর বিকাল পর্যন্ত থেকে যাও।” কাজেই তারা দু’জনে খাওয়া-দাওয়া করল।

9. তারপর যখন সেই লোকটি তার উপস্ত্রী এবং চাকরকে নিয়ে চলে যাবার জন্য প্রস্তুত হল তখন তার শ্বশুর বলল, “দেখ, এখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে, রাতটা এখানেই কাটাও; বেলা তো প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এখানেই থাক এবং আমোদ-প্রমোদ কর। কাল খুব ভোরে উঠে তোমার বাড়ীর পথে রওনা হয়ে যেয়ো।”

12. জবাবে তার মালিক তাকে বলল, “না, যারা ইসরাইলীয় নয় তাদের শহরে আমরা যাব না। আমরা বরং এগিয়ে গিয়ে গিবিয়াতে যাব।”

13. সে আরও বলল, “চল, আমরা গিবিয়াতে কিংবা রামাতে পৌঁছাবার চেষ্টা করি এবং রাতটা ঐ শহর দু’টার একটাতে কাটাই।”

14. কাজেই তারা চলতেই থাকল। বিন্‌ইয়ামীন এলাকার গিবিয়ার কাছে পৌঁছাতেই সূর্য ডুবে গেল।

15. রাতটা কাটাবার জন্য তখন তারা পথ ছেড়ে গিবিয়াতে গেল আর শহর-চকে গিয়ে বসল, কিন্তু রাত কাটাবার জন্য কেউ নিজের বাড়ীতে তাদের ডেকে নিল না।

16. সেই দিন সন্ধ্যাবেলা আফরাহীমের পাহাড়ী এলাকার একজন বুড়ো লোক তার ক্ষেতের কাজের পর গিবিয়া শহরে ঢুকল। সে গিবিয়াতে বাস করত, কিন্তু সেখানকার লোকেরা ছিল বিন্যামীন-গোষ্ঠীর লোক।

17. শহর-চকে সেই পথিককে দেখে বুড়ো লোকটি জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কোথায় যাবে আর কোথা থেকেই বা এসেছ?”

18. জবাবে সে বলল, “আমরা এহুদার বেথেলহেম থেকে এসেছি আর আফরাহীমের পাহাড়ী এলাকার ভিতরে যাব। আমার বাড়ী সেখানেই। আমি এহুদার বেথেলহেমে গিয়েছিলাম আর এখন আমি মাবুদের ঘরে যাচ্ছি, কিন্তু কেউ আমাকে তার বাড়ীতে ডেকে নিচ্ছে না।

19. আমাদের গাধার জন্য খড় ও ভূষি আমাদের কাছে আছে এবং আমার জন্য ও আপনার এই বাঁদীর জন্য এবং আমাদের সংগেকার এই যুবকটির জন্য রুটি এবং আংগুর-রসও আছে। আপনার গোলামদের আর কিছুরই দরকার নেই।”

কাজীগণ 19