কাজীগণ 16:14-23 Kitabul Mukkadas (MBCL)

14. তখন দলীলা তাঁর চুল তাঁতে বুনে গোঁজের সংগে আঁটকে রেখে তাঁকে বলল, “শামাউন, ফিলিস্তিনীরা তোমাকে ধরতে এসেছে।” তখন শামাউন ঘুম থেকে জেগে উঠে গোঁজ আর তাঁতটা উপ্‌ড়ে ফেললেন।

15. এতে দলীলা তাঁকে বলল, “কেমন করে তুমি আমাকে বলতে পার যে, তুমি আমাকে ভালবাস? তোমার মন তো আমার উপরে নেই। এই নিয়ে তৃতীয়বার তুমি আমাকে বোকা বানালে। তোমার এই মহাশক্তির গোপন কথাটা আমাকে জানালে না।”

16. এইভাবে দিনের পর দিন সে তার কথা দিয়ে তাঁকে এমনভাবে জ্বালাতে লাগল যে, তাঁর জীবনের উপর একটা বিরক্তি এসে গেল।

17. কাজেই তিনি তাকে সব কথা খুলে বললেন। তিনি বললেন, “আমার মাথায় কখনও ক্ষুর দেওয়া হয় নি। জন্ম থেকেই আমি আল্লাহ্‌র উদ্দেশে একজন নাসরীয়। আমার মাথা কামানো হলে আমার শক্তি আমাকে ছেড়ে যাবে। তাতে আমি অন্য যে কোন লোকের মতই দুর্বল হয়ে পড়ব।”

18. দলীলা যখন বুঝল যে, তিনি তাকে সব কথা খুলে বলেছেন তখন সে ফিলিস্তিনী শাসনকর্তাদের কাছে এই বলে খবর পাঠাল, “আপনারা আর একবার আসুন। সে আমাকে সব কথা খুলে বলেছে।” কাজেই ফিলিস্তিনীদের শাসনকর্তারা রূপা সংগে নিয়ে আসলেন।

19. দলীলা শামাউনকে তার কোলে ঘুম পাড়াল এবং তাঁর সাত গোছা চুল কামিয়ে ফেলবার জন্য একজন লোককে ডাকল। এইভাবে সে তাঁকে কষ্টের মধ্যে ফেলল এবং তাঁর শক্তিও তাঁকে ছেড়ে গেল।

20. তারপর দলীলা তাঁকে বলল, “শামাউন, ফিলিস্তিনীরা তোমাকে ধরতে এসেছে।” শামাউন ঘুম থেকে জেগে উঠে ভাবলেন যে, তিনি আগের মতই বাইরে যাবেন এবং ঝাড়া দিয়ে নিজেকে মুক্ত করে নেবেন। কিন্তু তিনি জানতেন না যে, মাবুদ তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন।

21. তখন ফিলিস্তিনীরা তাঁকে ধরে তাঁর চোখ দু’টা তুলে ফেলল এবং তাঁকে গাজা শহরে নিয়ে গেল। তারা তাঁকে ব্রোঞ্জের শিকল দিয়ে বাঁধল এবং জেলখানার মধ্যে তাঁকে দিয়ে জাঁতা ঘুরাবার কাজ করাতে লাগল।

22. কিন্তু তাঁর মাথার চুল কামিয়ে ফেলবার পর আবার তা গজাতে লাগল।

23. এর পর ফিলিস্তিনীদের শাসনকর্তারা তাঁদের দেবতা দাগোনের কাছে একটা মস্ত বড় উৎসর্গ করে আনন্দ করবার জন্য এক জায়গায় জমায়েত হলেন। তাঁরা বললেন, “আমাদের দেবতা আমাদের শত্রু শামাউনকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।”

কাজীগণ 16