5. কিন্তু ব্যাবিলনীয় সৈন্যেরা তাঁদের পিছনে তাড়া করে জেরিকোর সমভূমিতে সিদিকিয়কে ধরে ফেলল। তারা তাঁকে ধরে হামা দেশের রিব্লাতে ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসারের কাছে নিয়ে গেল। বখতে-নাসার তাঁর শাস্তির হুকুম দিলেন।
6. ব্যাবিলনের বাদশাহ্ রিব্লাতে সিদিকিয়ের চোখের সামনেই তাঁর ছেলেদের হত্যা করলেন এবং এহুদার সমস্ত রাজকর্মচারীদেরও হত্যা করলেন।
7. তারপর তিনি সিদিকিয়ের চোখ তুলে ফেলে তাঁকে ব্যাবিলনে নিয়ে যাবার জন্য ব্রোঞ্জের শিকল দিয়ে বাঁধলেন।
8. ব্যাবিলনীয়রা রাজবাড়ীতে ও লোকদের বাড়ী-ঘরে আগুন লাগিয়ে দিল এবং জেরুজালেমের দেয়াল ভেংগে ফেলল।
9. সেই সময় যারা শহরে থেকে গিয়েছিল, যারা ব্যাবিলনের পক্ষে গিয়েছিল এবং দেশের বাকী লোকদের ব্যাবিলনের বাদশাহ্র রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন বন্দী করে ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন।
10. কিন্তু রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন সম্পত্তিহীন কিছু গরীব লোককে এহুদা দেশে রেখে গেলেন; সেই সময়ে তিনি তাদের আংগুর ক্ষেত ও জমি দিয়ে গেলেন।
11. ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার ইয়ারমিয়ার বিষয়ে বাদশাহ্র রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদনকে এই হুকুম দিলেন,
12. “তাঁকে নিয়ে তাঁর দেখাশোনা করবে; তাঁর কোন ক্ষতি করবে না বরং তিনি যা বলবেন তা করবে।”
15. ইয়ারমিয়া যখন পাহারাদারদের উঠানে বন্দী ছিলেন তখন মাবুদের এই কালাম তাঁর উপর নাজেল হয়েছিল,
16. “ইথিওপীয় এবদ-মেলকের কাছে গিয়ে বল যে, ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলেছেন, ‘উপকার দিয়ে নয় বরং অপকারের মধ্য দিয়ে আমি এই শহরের বিরুদ্ধে আমার কালাম সফল করতে যাচ্ছি। সেই সময় তোমার চোখের সামনেই তা পূর্ণ হবে,
17. কিন্তু আমি তোমাকে উদ্ধার করব। যাদের তুমি ভয় কর তাদের হাতে তোমাকে দেওয়া হবে না।
18. আমি নিশ্চয়ই তোমাকে রক্ষা করব; তোমাকে হত্যা করা হবে না, বরং তুমি কোনমতে তোমার প্রাণ রক্ষা করবে, কারণ তুমি আমার উপর ভরসা করেছ। আমি মাবুদ এই কথা বলছি।’ ”