3. তুমি তার হাত থেকে রেহাই পাবে না; তোমাকে নিশ্চয়ই ধরে তার হাতে দেওয়া হবে। তুমি নিজের চোখে ব্যাবিলনের বাদশাহ্কে দেখতে পাবে; সে তোমার মুখোমুখি হয়ে তোমার সংগে কথা বলবে, আর তুমি ব্যাবিলনে যাবে।
4. “হে এহুদার বাদশাহ্ সিদিকিয়, তবুও তুমি আমার কথা শোন। তোমার সম্বন্ধে আমি বলছি, তুমি তলোয়ারের আঘাতে মারা পড়বে না;
5. তুমি শান্তিতে মারা যাবে। তোমার পূর্বপুরুষ, অর্থাৎ তোমার আগে যে সব বাদশাহ্রা ছিল তাদের সম্মান দেখাবার জন্য যেমন আগুন জ্বালানো হয়েছিল লোকে তোমার সম্মানের জন্যও তেমনি আগুন জ্বালাবে এবং ‘হায় মালিক!’ বলে দুঃখ প্রকাশ করবে। আমি মাবুদ নিজেই এই কথা বলছি।”
6. তখন নবী ইয়ারমিয়া জেরুজালেমে এহুদার বাদশাহ্ সিদিকিয়কে সেই সব কথা বললেন।
7. সেই সময় ব্যাবিলনের বাদশাহ্র সৈন্যেরা জেরুজালেম, লাখীশ ও অসেকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল, কারণ এহুদা দেশের মধ্যে কেবল এই দেয়াল-ঘেরা শহরগুলোই অধিকার করে নিতে তাদের বাকী ছিল।
8. পরে মাবুদ আবার ইয়ারমিয়ার সংগে কথা বললেন। এর আগে বাদশাহ্ সিদিকিয় জেরুজালেমের সমস্ত লোকদের সংগে গোলামদের মুক্তি ঘোষণার বিষয় নিয়ে নিয়ম স্থির করেছিলেন।
9. সেই নিয়ম হল, প্রত্যেকে তার ইবরানী গোলাম ও বাঁদীকে মুক্ত করে দেবে; কোন ইহুদী ভাইকে কেউ গোলাম করে রাখতে পারবে না।
18-19. এহুদা ও জেরুজালেমের নেতারা, রাজকর্মচারীরা, ইমামেরা ও দেশের সব লোকেরা দুই টুকরা করা বাছুরের মাঝখান দিয়ে হেঁটে আমার নিয়ম পালন করবে বলে ওয়াদা করেছিল, কিন্তু তারা আমার নিয়ম ভেংগেছে এবং সেই ওয়াদা পুরণ করে নি।
20. সেইজন্য যারা তাদের হত্যা করতে চায় সেই শত্রুদের হাতে আমি তাদের তুলে দেব। তাদের লাশ হবে আকাশের পাখী ও বনের পশুদের খাবার।
21. “যে শত্রুরা এহুদার বাদশাহ্ সিদিকিয় ও তার কর্মচারীদের হত্যা করতে চায় আমি সেই শত্রুদের হাতেই তাদের তুলে দেব। ব্যাবিলনের বাদশাহ্র যে সৈন্যদল তোমাদের কাছ থেকে চলে গিয়েছিল আমি তাদেরই হাতে তোমাদের তুলে দেব।
22. আমি তাদের হুকুম দিয়ে এই শহরে ফিরিয়ে আনব। তারা এই শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং তা দখল করে পুড়িয়ে দেবে। আমি এহুদার শহরগুলোকে ধ্বংস করে জনশূন্য করব।”