11. “ ‘ঈদ ও নির্দিষ্ট মেজবানীর সময়ে একটা ষাঁড়ের জন্য আঠারো কেজি ময়দা, ভেড়ার জন্য আঠারো কেজি ময়দা এবং বাচ্চা-ভেড়াগুলোর জন্য যতটা খুশী ততটা ময়দা দিতে হবে; প্রত্যেক আঠারো কেজি ময়দার সংগে পৌনে চার লিটার করে তেল দিতে হবে।
12. শাসনকর্তা যখন মাবুদের উদ্দেশে নিজের ইচ্ছায় কোন কোরবানী দিতে চায়- তা সেটা পোড়ানো-কোরবানীই হোক বা যোগাযোগ-কোরবানীই হোক- তখন তার জন্য পূর্বমুখী দরজাটা খুলে দিতে হবে। বিশ্রাম দিনের মত করেই সে তার পোড়ানো-কোরবানী কিংবা যোগাযোগ-কোরবানী দেবে। তারপর সে বাইরে গেলে দরজাটা বন্ধ করা হবে।
13. “ ‘মাবুদের উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানীর জন্য তোমাদের প্রতিদিন একটা করে এক বছরের নিখুঁত বাচ্চা-ভেড়া কোরবানী দিতে হবে; প্রতিদিন সকালে তোমাদের তা করতে হবে।
14. এছাড়া এর সংগে রোজ সকালে তোমাদের শস্য-কোরবানীর জিনিসও দিতে হবে; এতে থাকবে তিন কেজি ময়দা ও তাতে ময়ান দেবার জন্য সোয়া এক লিটার তেল। মাবুদের উদ্দেশে এই শস্য-কোরবানী একটা স্থায়ী নির্দেশ।
15. এইভাবে নিয়মিত পোড়ানো-কোরবানীর জন্য রোজ সকালে সেই বাচ্চা-ভেড়া এবং শস্য-কোরবানীর জন্য ময়দা ও তেল যোগান দিতে হবে।
16. “ ‘আমি আল্লাহ্ মালিক আরও বলছি, যদি শাসনকর্তা তার সম্পত্তি থেকে তার কোন ছেলেকে কোন জায়গা দান করে তবে তা তার বংশধরদেরও অধিকারে থাকবে। তারা সেই সম্পত্তির অধিকারী হবে।
17. কিন্তু যদি সে তার সম্পত্তি থেকে তার কোন গোলামকে কোন জায়গা দান করে তবে সেই গোলাম তা ফিরে পাওয়ার বছর পর্যন্ত রাখতে পারবে; তারপর সেটা আবার শাসনকর্তার দখলে আসবে। শাসনকর্তার সম্পত্তি কেবল তার ছেলেরাই পাবে; সেটা তাদেরই হবে।
18. লোকদের তাড়িয়ে দিয়ে শাসনকর্তা তাদের কোন সম্পত্তিই দখল করতে পারবে না। সে কেবল তার নিজের সম্পত্তি থেকেই তার ছেলেদের দিতে পারবে যাতে আমার বান্দাদের মধ্য থেকে কেউই তার সম্পত্তির মালিকানা না হারায়।’ ”
19. তারপর সেই মানুষটি আমাকে দরজার পাশের ঢুকবার পথ দিয়ে ইমামদের উত্তরমুখী পবিত্র দালানের সামনে নিয়ে আসলেন। তিনি আমাকে দালানের পশ্চিম দিকের শেষ সীমায় একটা জায়গা দেখালেন।
20. তিনি আমাকে বললেন, “এটা সেই জায়গা যেখানে ইমামেরা দোষের কোরবানী ও গুনাহের কোরবানীর গোশ্ত সিদ্ধ করবে এবং শস্য-কোরবানীর জিনিস সেঁকে নেবে যাতে সেই পাক-পবিত্র জিনিসগুলো বাইরের উঠানে আনতে না হয়, কারণ সাধারণ কোন লোক সেগুলো ছুঁলে সে পবিত্র হয়ে যাবে।”
21. তারপর তিনি আমাকে বাইরের উঠানে এনে তার চারটা কোণায় ঘুরিয়ে নিয়ে আসলেন, আর আমি প্রত্যেকটি কোণায় আর একটা করে ছোট উঠান দেখতে পেলাম।
22. দেয়াল-ঘেরা সেই ছোট উঠানগুলোর মাপ ছিল চল্লিশ হাত লম্বা ও ত্রিশ হাত চওড়া। প্র্রত্যেকটা উঠান একই মাপের ছিল।
23. সেই চারটা উঠানের প্রত্যেকটির ভিতরের চারপাশে দেয়ালের সংগে লাগানো পাথরের তাক ছিল এবং সেই তাকের নীচে চারপাশে চুলা ছিল।
24. তিনি আমাকে বললেন, “এগুলো হল চুলা; যারা বায়তুল-মোকাদ্দসের এবাদত-কাজ করে তারা সেখানে লোকদের কোরবানীর জিনিস সিদ্ধ করবে।”