18. আমি যখন একজন দুষ্ট লোককে বলি, ‘তুমি নিশ্চয়ই মরবে,’ তখন তুমি যদি তাকে সাবধান না কর, কিংবা তার প্রাণ বাঁচাতে খারাপ পথ থেকে ফিরাবার জন্য কিছু না বল, তবে সেই দুষ্ট লোক তার গুনাহের জন্য মরবে, কিন্তু তার মৃত্যুর জন্য আমি তোমাকে দায়ী করব।
19. কিন্তু সেই দুষ্ট লোককে তুমি সাবধান করবার পরেও যদি সে তার দুষ্টতা থেকে কিংবা তার খারাপ পথ থেকে না ফেরে, তবে তার গুনাহের জন্য সে মরবে; কিন্তু তুমি নিজে রক্ষা পাবে।
20. “আবার, যদি কোন সৎ লোক তার ঠিক পথ থেকে ফিরে খারাপ কাজ করে আর আমি তার সামনে একটা বিপদ রাখি, তবে সে মরবে। তুমি তাকে সাবধান কর নি বলে সে তার গুনাহের জন্য মরবে। যে সব সৎ কাজ সে করেছে তা আর মনে করা হবে না; আমি তোমাকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করব।
21. কিন্তু গুনাহ্ না করবার জন্য যদি তুমি সেই সৎ লোককে সাবধান কর আর সে গুনাহ্ না করে তবে সাবধান হবার কথা শুনবার ফলে সে নিশ্চয়ই বাঁচবে এবং তুমিও নিজেকে রক্ষা করবে।”
22. সেখানে মাবুদের শক্তিশালী হাত আমার উপরে ছিল এবং তিনি আমাকে বললেন, “তুমি উঠে সমভূমিতে যাও, সেখানে আমি তোমার সংগে কথা বলব।”
23. কাজেই আমি উঠে সমভূমিতে গেলাম। কবার নদীর ধারে মাবুদের যে মহিমা দেখেছিলাম সেই রকম মহিমাই সেখানে দেখলাম; আর আমি উবুড় হয়ে পড়লাম।
24. তখন আল্লাহ্র রূহ্ আমার মধ্যে এসে আমাকে তুলে পায়ের উপর দাঁড় করালেন। তিনি আমাকে বললেন, “তুমি তোমার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ভিতরে থাক।
25. হে মানুষের সন্তান, তোমাকে দড়ি দিয়ে বাঁধা হবে; তাতে তুমি বাইরে লোকজনের মধ্যে যেতে পারবে না।
26. তুমি যাতে চুপ করে থাক ও তাদের বকাবকি করতে না পার সেইজন্য আমি তোমার জিভ্ তোমার মুখের তালুতে আট্কে দেব। বনি-ইসরাইলরা তো একটা বিদ্রোহী জাতি।
27. কিন্তু আমি তোমার সংগে কথা বলবার সময় তোমার মুখ খুলে দেব এবং তুমি তাদের কাছে আল্লাহ্ মালিকের কালাম বলবে। তাদের মধ্যে যে শুনতে চায় সে শুনুক ও যে শুনতে না চায় সে না শুনুক; তারা তো একটা বিদ্রোহী জাতি।”