25. সেইজন্য যে সব নিয়ম ভাল নয় এবং যে শরীয়তের মধ্য দিয়ে তারা জীবন পাবে না সেই সবের হাতে আমি তাদের ছেড়ে দিলাম।
26. প্রথমে জন্মেছে এমন প্রত্যেকটি সন্তানকে তারা আগুনে পুড়িয়ে কোরবানী দিয়েছে, আর তার মধ্য দিয়েই আমি তাদের নাপাক হতে দিলাম যেন আমি তাদের ধ্বংস করতে পারি। তখন তারা জানতে পারবে যে, আমিই মাবুদ।’
27. “কাজেই হে মানুষের সন্তান, তুমি বনি-ইসরাইলদের বল যে, আল্লাহ্ মালিক বলছেন, ‘তোমাদের পূর্বপুরুষেরা বেঈমানীর কাজ করে আমাকে কুফরী করেছে।
28. যে দেশ দেবার কসম আমি তাদের কাছে খেয়েছিলাম সেখানে নিয়ে যাবার পর যখন তারা কোন উঁচু পাহাড় বা ডালপালা ছড়ানো সবুজ গাছ দেখল সেখানে তারা তাদের পশু-কোরবানী দিতে লাগল। সেই কোরবানী দিয়ে তারা আমার রাগ জাগিয়ে তুলল। এছাড়া তারা সেখানে তাদের খোশবু-ধূপ জ্বালাল এবং ঢালন-কোরবানী করল।
29. তখন আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম সেই সব উঁচু স্থানে তারা কেন যায়।’ ” আজও সেই সব জায়গার নাম রয়েছে “পূজার উঁচু স্থান।”
30. কাজেই মাবুদ আমাকে বললেন, “তুমি বনি-ইসরাইলদের বল যে, আল্লাহ্ মালিক বলছেন, ‘তোমরা কি তোমাদের পূর্বপুরুষদের মত করে নিজেদের নাপাক করবে এবং তাদের জঘন্য মূর্তিগুলোর পূজা করবে?
31. আজও পর্যন্ত যখন তোমরা মূর্তির সামনে তোমাদের ছেলেমেয়েদের আগুনে পুড়িয়ে কোরবানী দাও তখন সেই সব মূর্তি দিয়ে তোমরা নিজেদের নাপাক করে থাক। হে বনি-ইসরাইলরা, আমি কি তোমাদের আমার ইচ্ছা জানতে দেব? আমার জীবনের কসম যে, আমি কিছুতেই আমার ইচ্ছা তোমাদের জানতে দেব না।
32. “ ‘তোমরা বলে থাক যে, তোমরা দুনিয়ার অন্যান্য জাতির লোকদের মত হতে চাও যারা কাঠ ও পাথরের পূজা করে। কিন্তু তোমাদের মনে যা আছে তা কখনও হবে না।
33. আমি আল্লাহ্ মালিক আমার জীবনের কসম খেয়ে বলছি যে, আমার শক্তিশালী হাত বাড়িয়ে গজব ঢেলে দিয়ে আমি তোমাদের উপরে রাজত্ব করব।
34. আমার শক্তিশালী হাত বাড়িয়ে গজব ঢেলে দিয়ে নানা জাতির মধ্য থেকে আমি তোমাদের নিয়ে আসব এবং যে সব দেশে তোমাদের ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সেখান থেকে তোমাদের একত্র করব।