14. কিন্তু আমার সুনাম রক্ষার জন্য আমি তা করি নি, যাতে যে জাতিদের সামনে আমি তাদের বের করে এনেছিলাম তাদের কাছে আমার নাম অপবিত্র না হয়।
15. এছাড়া সেই মরুভূমিতেই তাদের কাছে আমি কসম খেলাম যে, আমার দেওয়া দেশ- যে দেশে দুধ, মধু আর কোন কিছুর অভাব নেই, যে দেশ সব দেশের মধ্যে সেরা- সেই দেশে আমি তাদের নিয়ে যাব না।
16. তারা আমার শরীয়ত অগ্রাহ্য করেছে ও আমার নিয়মগুলো অমান্য করেছে এবং আমার দেওয়া বিশ্রাম দিনগুলোর পবিত্রতা রক্ষা করে নি, কারণ তাদের অন্তরের টান ছিল মূর্তিপূজার দিকে।
17. তবুও আমি তাদের মমতার চোখে দেখে মরুভূমিতে তাদের একেবারে ধ্বংস করি নি।
18. সেখানে তাদের ছেলেমেয়েদের আমি বললাম যে, তারা যেন তাদের পূর্বপুরুষদের মত কাজ না করে, তাদের আচার-ব্যবহার অনুসারে না চলে এবং তাদের মূর্তিগুলো দিয়ে নিজেদের নাপাক না করে।
19. আমি তাদের আরও বললাম যে, আমিই তাদের মাবুদ আল্লাহ্, তাই আমার নিয়মগুলো যেন তারা পালন করে এবং আমার শরীয়ত মেনে চলে।
20. তারা যেন আমার দেওয়া বিশ্রাম দিনগুলোর পবিত্রতা রক্ষা করে; তাতে আমার ও তাদের মধ্যে তা একটা চিহ্ন হয়ে থাকবে, আর তারা জানতে পারবে যে, আমিই তাদের মাবুদ আল্লাহ্।
21. “ ‘কিন্তু সেই ছেলেমেয়েরা আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল। তারা আমার নিয়মগুলো পালন করল না এবং যে শরীয়ত পালন করলে মানুষ জীবন পায় তারা আমার সেই শরীয়ত মেনে চলবার দিকে মনোযোগ দিল না; তারা আমার দেওয়া বিশ্রাম দিনগুলোর পবিত্রতা রক্ষা করল না। তাই আমি বললাম মরুভূমিতে আমি তাদের উপর আমার রাগ ও গজব সম্পূর্ণভাবে ঢেলে দেব।
22. কিন্তু আমার হাত আমি সরিয়ে রাখলাম এবং আমার সুনাম রক্ষার জন্য আমি তা করি নি যাতে যে সব জাতিদের সামনে আমি তাদের বের করে এনেছিলাম তাদের কাছে আমার নাম অপবিত্র না হয়।
23. তা ছাড়া মরুভূমিতে আমি তাদের কাছে কসম খেয়েছিলাম যে, নানা জাতি ও দেশের মধ্যে আমি তাদের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেব,
24. কারণ তারা আমার শরীয়ত পালন করে নি, আমার নিয়মগুলো অগ্রাহ্য করেছে, আমার দেওয়া বিশ্রাম দিনগুলোর পবিত্রতা রক্ষা করে নি, আর তাদের পূর্বপুরুষদের মূর্তিগুলো তাদের কাছে ভাল লেগেছে।
25. সেইজন্য যে সব নিয়ম ভাল নয় এবং যে শরীয়তের মধ্য দিয়ে তারা জীবন পাবে না সেই সবের হাতে আমি তাদের ছেড়ে দিলাম।
26. প্রথমে জন্মেছে এমন প্রত্যেকটি সন্তানকে তারা আগুনে পুড়িয়ে কোরবানী দিয়েছে, আর তার মধ্য দিয়েই আমি তাদের নাপাক হতে দিলাম যেন আমি তাদের ধ্বংস করতে পারি। তখন তারা জানতে পারবে যে, আমিই মাবুদ।’
27. “কাজেই হে মানুষের সন্তান, তুমি বনি-ইসরাইলদের বল যে, আল্লাহ্ মালিক বলছেন, ‘তোমাদের পূর্বপুরুষেরা বেঈমানীর কাজ করে আমাকে কুফরী করেছে।
28. যে দেশ দেবার কসম আমি তাদের কাছে খেয়েছিলাম সেখানে নিয়ে যাবার পর যখন তারা কোন উঁচু পাহাড় বা ডালপালা ছড়ানো সবুজ গাছ দেখল সেখানে তারা তাদের পশু-কোরবানী দিতে লাগল। সেই কোরবানী দিয়ে তারা আমার রাগ জাগিয়ে তুলল। এছাড়া তারা সেখানে তাদের খোশবু-ধূপ জ্বালাল এবং ঢালন-কোরবানী করল।
29. তখন আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম সেই সব উঁচু স্থানে তারা কেন যায়।’ ” আজও সেই সব জায়গার নাম রয়েছে “পূজার উঁচু স্থান।”
30. কাজেই মাবুদ আমাকে বললেন, “তুমি বনি-ইসরাইলদের বল যে, আল্লাহ্ মালিক বলছেন, ‘তোমরা কি তোমাদের পূর্বপুরুষদের মত করে নিজেদের নাপাক করবে এবং তাদের জঘন্য মূর্তিগুলোর পূজা করবে?
31. আজও পর্যন্ত যখন তোমরা মূর্তির সামনে তোমাদের ছেলেমেয়েদের আগুনে পুড়িয়ে কোরবানী দাও তখন সেই সব মূর্তি দিয়ে তোমরা নিজেদের নাপাক করে থাক। হে বনি-ইসরাইলরা, আমি কি তোমাদের আমার ইচ্ছা জানতে দেব? আমার জীবনের কসম যে, আমি কিছুতেই আমার ইচ্ছা তোমাদের জানতে দেব না।
32. “ ‘তোমরা বলে থাক যে, তোমরা দুনিয়ার অন্যান্য জাতির লোকদের মত হতে চাও যারা কাঠ ও পাথরের পূজা করে। কিন্তু তোমাদের মনে যা আছে তা কখনও হবে না।