20. যে গুনাহ্ করবে সে-ই মরবে। ছেলে বাবার দোষের জন্য শাস্তি পাবে না আর বাবাও ছেলের দোষের জন্য শাস্তি পাবে না। সৎ লোক তার সততার ফল পাবে এবং দুষ্ট লোক তার দুষ্টতার ফল পাবে।
21. “কিন্তু যদি একজন দুষ্ট লোক তার সব গুনাহ্ থেকে ফিরে আমার সব নিয়ম-কানুন পালন করে আর ন্যায় ও ঠিক কাজ করে তবে সে নিশ্চয়ই বাঁচবে, মরবে না।
22. সে যে সব অন্যায় করেছে তা আমি আর মনে রাখব না। সে যে সব সৎ কাজ করেছে তার জন্যই সে বাঁচবে।
23. দুষ্ট লোকের মরণে কি আমি খুশী হই? বরং সে যখন তার কুপথ থেকে ফিরে এসে বাঁচে তখনই আমি খুশী হই।
24. “কিন্তু যদি একজন সৎ লোক তার সততা থেকে ফিরে গুনাহ্ করে এবং দুষ্ট লোকের মত জঘন্য কাজ করে তবে সে কি বাঁচবে? তার কোন সৎ কাজই তখন আমি মনে করব না। তার বেঈমানী ও গুনাহের জন্যই সে মরবে।
25. “তবুও তোমরা বলছ, ‘মাবুদের পথ ঠিক নয়।’ হে বনি-ইসরাইলরা, শোন। আমার পথ কি অন্যায়ের পথ? না, বরং তোমাদের পথই অন্যায়ের পথ।
26. যদি একজন সৎ লোক তার সততা থেকে ফিরে গুনাহ্ করে আর মরে, তবে সে তার গুনাহের দরুনই মরবে।
27. কিন্তু যদি একজন দুষ্ট লোক তার দুষ্টতা থেকে ফিরে ন্যায় ও সৎ কাজ করে, তবে সে তার প্রাণ বাঁচাবে।
28. তার অন্যায়ের কথা চিন্তা করে তা থেকে ফিরেছে বলে সে নিশ্চয়ই বাঁচবে, মরবে না।
29. তবুও তোমরা বলছ, ‘মাবুদের পথ ঠিক নয়।’ হে বনি-ইসরাইলরা, আমার পথ কি অন্যায়ের? অন্যায়ের পথ তো তোমাদেরই।
30. “সেইজন্য হে বনি-ইসরাইলরা, আমি তোমাদের প্রত্যেকের আচার-ব্যবহার অনুসারে বিচার করব। তোমরা ফেরো, তোমাদের সমস্ত অন্যায় কাজ থেকে তওবা কর; তাহলে গুনাহের জন্য তোমরা ধ্বংস হবে না।
31. তোমাদের সমস্ত অন্যায় তোমাদের নিজেদের মধ্য থেকে দূর কর এবং তোমাদের দিল ও মন নতুন করে গড়ে তোল। কেন তোমরা মরবে?
32. আমি কারও মৃত্যুতে খুশী হই না। তোমরা তওবা করে বাঁচ। আমি আল্লাহ্ মালিক এই কথা বলছি।”