3. তুমি বল যে, আল্লাহ্ মালিক জেরুজালেমকে বলছেন, ‘তোমার বাড়ী ও তোমার জন্মের স্থান কেনানীয়দের দেশে; তোমার পিতা হল আমোরীয় ও মা হিট্টীয়।
4. যেদিন তুমি জন্মেছিলে সেদিন তোমার নাড়ী কাটা হয় নি, তোমাকে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করা হয় নি, তোমার গায়ে লবণ মাখানো হয় নি কিংবা তোমাকে কাপড় দিয়ে জড়ানো হয় নি।
5. কেউ তোমাকে মমতার চোখে দেখে নি কিংবা তোমার প্রতি এই সব করবার জন্য কারও মনে দয়াও জাগে নি। তোমাকে বরং খোলা মাঠে ফেলে রাখা হয়েছিল, কারণ যেদিন তুমি জন্মেছিলে সেই দিন তোমাকে ঘৃণা করা হয়েছিল।
6. “ ‘আমি তোমার কাছ দিয়ে যাবার সময় তোমাকে তোমার রক্তের মধ্যে শুয়ে ছট্ফট করতে দেখলাম। তখন আমি তোমাকে হুকুম দিলাম যেন তুমি তোমার রক্তের মধ্যেই বেঁচে থাক।
7. আমি তোমাকে ক্ষেতের চারার মত বড় করে তুললাম। তুমি বেড়ে উঠে কিশোরী হলে, তোমার বুক গড়ে উঠল, লোম গজাল, কিন্তু তুমি উলংগিনী ও কাপড় ছাড়াই ছিলে।
8. “ ‘পরে আমি তোমার পাশ দিয়ে যাবার সময় তোমার দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে, তোমার এখন প্রেম করবার সময় হয়েছে; সেইজন্য আমার পোশাকের অংশ আমি তোমার উপরে বিছিয়ে তোমার উলংগতা ঢেকে দিলাম। আমি তোমার কাছে কসম খেয়ে তোমার সংগে বিয়ের চুক্তি করলাম, আর তাতে তুমি আমার হলে।
9. আমি তোমাকে পানিতে গোসল করিয়ে তোমার রক্ত ধুয়ে দিলাম এবং গায়ে তেল লাগিয়ে দিলাম।
23-24. “ ‘ঘৃণ্য, ঘৃণ্য তুমি! তোমার এই সব দুষ্টতার পরেও তুমি নিজের জন্য শহরের প্রত্যেকটি খোলা জায়গায় একটা করে মূর্তির আসন তৈরী করেছ।
25. রাস্তার মোড়ে মোড়েও মূর্তির আসন তৈরী করে তোমার সৌন্দর্যকে তুমি অপমান করেছ। যে কেউ তোমার পাশ দিয়ে গেছে তাকে তোমার শরীর দান করে তুমি তোমার জেনার কাজ বাড়িয়েছ।
26. তোমার কামুক প্রতিবেশী মিসরীয়দের সংগে তুমি জেনা করেছ এবং তোমার জেনার কাজ বাড়িয়ে আমার রাগ খুঁচিয়ে তুলেছ।
27. সেইজন্য আমি তোমার বিরুদ্ধে আমার হাত বাড়িয়ে তোমার সম্পত্তি কমিয়ে দিয়েছি। তোমার শত্রুদের, অর্থাৎ ফিলিস্তিনীদের মেয়েরা, যারা তোমার জঘন্য স্বভাবের জন্য লজ্জা পেয়েছে আমি তাদের হাতে তোমাকে তুলে দিয়েছি।
28. আশেরীয়দের সংগেও তুমি জেনা করেছ, কারণ তুমি অতৃপ্ত ছিলে; কিন্তু তার পরেও তোমার তৃপ্তি হয় নি।
29. তার পরে তুমি তোমার জেনার কাজ বাড়িয়ে বণিকদের দেশ ব্যাবিলনের সংগেও জেনা করলে, কিন্তু এতেও তোমার তৃপ্তি হল না।
30. “ ‘আমি আল্লাহ্ মালিক বলছি যে, তুমি কত দুর্বল-মনা, কারণ তুমি বেহায়া বেশ্যার মত এই সব কাজ করছ।
31. তুমি যখন রাস্তার মোড়ে মোড়ে মূর্তির আসন তৈরী করেছ তখন বেশ্যার কাজ করেও তোমার পাওনা টাকা অগ্রাহ্য করেছ।
32. তুমি জেনাকারিণী স্ত্রীর মত, তুমি তোমার স্বামীর চেয়ে অচেনাদের পছন্দ করেছ।
33. সব বেশ্যারাই উপহার পায়, কিন্তু তুমি তোমার সব প্রেমিকদের উপহার দিয়ে থাক। তোমার সংগে জেনা করবার জন্য যাতে তারা সব জায়গা থেকে তোমার কাছে আসে সেইজন্য তুমি তাদের ঘুষ দিয়ে থাক।
34. কাজেই তোমার বেশ্যাগিরিতে তুমি অন্য বেশ্যাদের চেয়ে আলাদা; তোমার সংগে জেনা করবার জন্য কেউ তোমার পিছনে দৌড়ায় না। তুমি একেবারে আলাদা, কারণ তুমি টাকা নাও না বরং টাকা দিয়ে থাক।’ ”
35. ওহে বেশ্যা, মাবুদের কালাম শোন।
36. আল্লাহ্ মালিক বলছেন, “জেনার কাজে তুমি তোমার লজ্জা-স্থান খুলে দিয়ে তোমার প্রেমিকদের কাছে তোমার উলংগতা প্রকাশ করেছ। তোমার সমস্ত জঘন্য মূর্তির জন্য ও তাদের উদ্দেশে তোমার ছেলেমেয়েদের যে রক্ত দিয়েছ,
37. তার জন্য আমি তোমার সেই সব প্রেমিকদের জমায়েত করব যাদের সংগে তুমি আনন্দ ভোগ করেছ। যাদের তুমি ভালবেসেছ এবং যাদের ঘৃণা করেছ তাদের সবাইকে আমি জমায়েত করব। আমি চারদিক থেকে তোমার বিরুদ্ধে তাদের জমায়েত করব ও তাদের সামনেই তোমার সব কাপড় খুলে ফেলব যাতে তারা তোমার উলংগতা দেখতে পায়।
38. যে স্ত্রীলোকেরা জেনা করে এবং যারা রক্তপাত করে তাদের যে শাস্তি দেওয়া হয় সেই শাস্তিই আমি তোমাকে দেব। আমার রাগ ও দিলের জ্বালার জন্য আমি তোমাকে মৃত্যুর শাস্তি দেব।
39. তারপর আমি তোমাকে তোমার প্রেমিকদের হাতে তুলে দেব; তারা তোমার মূর্তির আসনগুলো ধ্বংস করে দেবে। তারা তোমার কাপড়-চোপড় খুলে ফেলবে ও তোমার সুন্দর গহনাগুলো নিয়ে নেবে আর তোমাকে একেবারে উলংগ করে রেখে যাবে।
40. তারা তোমার বিরুদ্ধে একদল লোককে উত্তেজিত করবে; তারা তোমাকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করবে এবং তাদের তলোয়ার দিয়ে তোমাকে টুকরা টুকরা করে কাটবে।
41. তারা তোমার ঘর-বাড়ী পুড়িয়ে ফেলবে এবং অনেক স্ত্রীলোকের চোখের সামনে তোমাকে শাস্তি দেবে। এইভাবে আমি তোমার বেশ্যাগিরি বন্ধ করে দেব; তোমার প্রেমিকদের তুমি আর টাকা-পয়সা দেবে না।
42. তারপর তোমার উপর আমার রাগ ও দিলের জ্বালা থেমে যাবে। আমি শান্ত হব, আর রাগ করব না।