4. দূরে বন্দী হয়ে যাবার জন্য তোমার গুছিয়ে নেওয়া জিনিসপত্র দিনের বেলাতেই তাদের চোখের সামনে বাইরে বের করবে। তারপর সন্ধ্যা বেলায় দূরে বন্দী হয়ে যাবার মত করে তাদের চোখের সামনে রওনা হবে।
5. তাদের চোখের সামনেই দেয়ালে গর্ত খুঁড়ে তোমার জিনিসপত্র তার মধ্য দিয়ে বের করে নেবে।
6. জিনিসপত্রগুলো তাদের চোখের সামনে কাঁধে তুলে নেবে এবং অন্ধকারের মধ্যে সেগুলো বের করে নিয়ে যাবে। তোমার চোখ ঢেকে রাখবে যাতে তুমি তোমার দেশের মাটি দেখতে না পাও, কারণ ইসরাইল জাতির জন্য আমি তোমাকে একটা নিশানার মত করেছি।”
7. আমাকে যা হুকুম করা হল সেইমতই আমি কাজ করলাম। দূরে বন্দী হয়ে যাবার মত করে আমি আমার জিনিসপত্র দিনের বেলাতেই বের করে আনলাম। তারপর সন্ধ্যা বেলায় হাত দিয়ে দেয়ালে গর্ত খুঁড়লাম। তাদের চোখের সামনেই অন্ধকারে আমার জিনিসপত্র আমি কাঁধের উপরে নিয়ে রওনা হলাম।
8. সকাল বেলায় মাবুদ আমাকে বললেন,
9. “হে মানুষের সন্তান, বিদ্রোহী ইসরাইল জাতি কি তোমাকে জিজ্ঞাসা করে নি, ‘তুমি কি করছ?’
10. তুমি তাদের বল, আল্লাহ্ মালিক বলছেন, ‘এই চিহ্ন জেরুজালেমের শাসনকর্তা এবং সেখানকার বনি-ইসরাইলদের জন্য।’
11. তুমি তাদের বল যে, তুমি তাদের কাছে একটা চিহ্ন। তুমি যেমন করলে, তাদের প্রতি তেমনই করা হবে। তারা বন্দী হয়ে দূর দেশে যাবে।
12. “তাদের মধ্যেকার শাসনকর্তা অন্ধকারে তার জিনিসপত্র কাঁধে নিয়ে বের হবে এবং দেয়ালে গর্ত খোঁড়া হবে যাতে সে তার মধ্য দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে। সে তার চোখ ঢাকবে যাতে সে তার দেশের মাটি দেখতে না পায়।
13. আমি তার জন্য জাল পাতব আর সে আমার ফাঁদে ধরা পড়বে। আমি তাকে ব্যাবিলনীয়দের দেশ ব্যাবিলনে নিয়ে যাব, কিন্তু সে তা দেখবে না; সেখানেই সে মারা যাবে।
14. আমি তার চারপাশের সবাইকে, অর্থাৎ তার কর্মচারী ও তার সমস্ত সৈন্যদলকে চারদিকে ছড়িয়ে দেব এবং খোলা তলোয়ার নিয়ে আমি তাদের তাড়া করব।
15. “আমি যখন তাদের নানা জাতি ও দেশের মধ্যে ছড়িয়ে দেব তখন তারা জানবে যে, আমিই মাবুদ।
16. কিন্তু তাদের মধ্যে কিছু লোককে আমি যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ ও মহামারীর হাত থেকে বাঁচাব, যাতে তারা যেখানেই যাক না কেন সেখানকার সমস্ত জাতির মধ্যে তাদের সব জঘন্য অভ্যাসের কথা স্বীকার করে। তাতে তারা জানতে পারবে যে, আমিই মাবুদ।”