4. মর্দখয় রাজবাড়ীর মধ্যে প্রধান হয়ে উঠলেন; তাঁর সুনাম বিভাগগুলোর সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল এবং তিনি দিনে দিনে শক্তিশালী হয়ে উঠলেন।
5. ইহুদীরা তাদের সব শত্রুদের ধ্বংস করতে, হত্যা করতে ও একেবারে শেষ করে দিতে লাগল এবং যারা তাদের ঘৃণা করত তাদের উপর যা খুশী তা-ই করতে লাগল।
11. সুসার কেল্লায় যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের সংখ্যা সেই দিনই বাদশাহ্কে জানানো হল।
12. বাদশাহ্ তখন রাণী ইষ্টেরকে বললেন, “সুসার কেল্লায় ইহুদীরা পাঁচশো লোক ও হামানের দশজন ছেলেকে হত্যা করেছে। বাদশাহ্র বাকী বিভাগগুলোতে তারা না জানি কি করেছে। এখন তোমার অনুরোধ কি? তা তোমাকে দেওয়া হবে। তুমি কি চাও? তাও করা হবে।”
13. জবাবে ইষ্টের বললেন, “মহারাজের যদি ভাল মনে হয় তবে আজকের মত কালকেও একই কাজ করবার জন্য সুসা শহরের ইহুদীদের অনুমতি দেওয়া হোক; আর হামানের দশটি ছেলেকে ফাঁসিকাঠে ঝুলানো হোক।”
14. বাদশাহ্ তা-ই করবার জন্য হুকুম দিলেন। সুসা শহরে বাদশাহ্র সেই হুকুম ঘোষণা করা হল আর লোকেরা হামানের দশটি ছেলেকে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে দিল।
15. সুসা শহরের ইহুদীরা অদর মাসের চৌদ্দ দিনের দিন একসংগে জমায়েত হয়ে সেখানে তিনশো লোককে হত্যা করল, কিন্তু তারা কোন লুটের জিনিসে হাত দিল না।
16. এর মধ্যে বাদশাহ্র বিভাগগুলোর বাকী ইহুদীরাও নিজেদের জীবন রক্ষা করবার জন্য ও তাদের শত্রুদের হাত থেকে রেহাই পাবার জন্য একসংগে জমায়েত হল। তারা তাদের পঁচাত্তর হাজার শত্রুকে হত্যা করল কিন্তু কোন লুটের জিনিসে হাত দিল না।
17. অদর মাসের তেরো দিনের দিন এই ঘটনা ঘটল এবং চৌদ্দ দিনের দিন তারা বিশ্রাম নিল। দিনটা তারা মেজবানীর ও আনন্দের দিন হিসাবে পালন করল।