10. মাবুদ আবার আহসকে বললেন,
11. “তুমি তোমার মাবুদ আল্লাহ্র কাছে বল যেন তিনি তোমাকে একটা চিহ্ন দেখান্ত সেই চিহ্ন কবর থেকে বেহেশত পর্যন্ত যে কোন জায়গায় দেখানো যেতে পারে।”
12. কিন্তু আহস বললেন, “আমি তা বলব না, আর মাবুদকে পরীক্ষাও করব না।”
13. তখন ইশাইয়া বললেন, “দাউদের বংশের লোকেরা, তোমরা শোন। মানুষের ধৈর্য পরীক্ষা করা কি যথেষ্ট নয়? তোমরা কি আমার আল্লাহ্র ধৈর্য পরীক্ষা করবে?
14. কাজেই দীন-দুনিয়ার মালিক নিজেই তোমাদের কাছে একটা চিহ্ন দেখাবেন। তা হল, একজন অবিবাহিতা সতী মেয়ে গর্ভবতী হবে, আর তাঁর একটি ছেলে হবে; তাঁর নাম রাখা হবে ইম্মানূয়েল।
15-16. যা খারাপ তা অগ্রাহ্য করবার ও যা ভাল তা বেছে নেবার জ্ঞান পাবার সময়ে তিনি দই আর মধু খাবেন। কিন্তু হে বাদশাহ্ আহস, সেই সময়ের আগেই যাদের আপনি ভয় করেন সেই দুই বাদশাহ্র দেশ খালি হয়ে পড়ে থাকবে।
17. এহুদা ও আফরাহীমের আলাদা হবার দিনের পর থেকে যা কখনও হয় নি, মাবুদ আপনার ও আপনার লোকদের এবং আপনার পিতার বংশের লোকদের উপর সেই রকম একটা সময় আনবেন। সেই সময় তিনি আশেরিয়ার বাদশাহ্কে নিয়ে আসবেন।”
18. সেই দিন মাবুদ মিসর দেশের দূরের নদীগুলো থেকে মাছি ও আশেরিয়া দেশ থেকে মৌমাছিদের আসবার জন্য ডাক দেবেন।
19. সেগুলো এসে খাড়া উপত্যকার মধ্যে, পাহাড়ের ফাটলে, সমস্ত কাঁটাঝোপের মধ্যে ও মাঠে মাঠে বসবে।
20. সেই দিন দীন-দুনিয়ার মালিক তোমাদের মাথার চুল, পায়ের লোম ও দাড়ি কামিয়ে দেবার জন্য ফোরাত নদীর ওপার থেকে একটা ক্ষুর, অর্থাৎ আশেরিয়ার বাদশাহ্কে ভাড়া করে আনবেন।
21-22. সেই দিন যদি কেউ একটা যুবতী গাভী ও দু’টা ছাগল বাঁচিয়ে রাখে তবে সেগুলো এত দুধ দেবে যে, সে দইও খেতে পারবে। যারা দেশে থাকবে তারা সবাই দই ও মধু খাবে।
23. সেই দিন যে সব জায়গায় বারো কেজি রূপার দামের এক হাজারটা আংগুর লতা ছিল সেখানে থাকবে কেবল কাঁটাঝোপ আর কাঁটাগাছ।
24. লোকে সেখানে যাবে তীর-ধনুক নিয়ে, কারণ দেশটা কাঁটাঝোপে আর কাঁটাগাছে ভরে যাবে।
25. যে সব পাহাড়ী জায়গা কোদাল দিয়ে খুঁড়ে চাষ করা হত সেখানে লোকে কাঁটার ভয়ে আর যাবে না; সেগুলো হবে গরু আর ভেড়ার পাল চরে বেড়াবার জায়গা।