2. তোমরা তো নিজেদের পবিত্র শহরের বাসিন্দা বলে থাক আর ইসরাইলের মাবুদের উপরে ভরসা কর, যাঁর নাম আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন।
3. মাবুদ বলছেন, “যা হয়ে গেছে তা আমি অনেক কাল আগেই বলেছিলাম; আমি তা জানিয়েছিলাম আর আমার মুখ তা ঘোষণা করেছিল। তারপর আমি হঠাৎ তা করলাম আর তা হল,
4. কারণ তোমরা যে কেমন একগুঁয়ে তা আমি জানতাম; তোমাদের ঘাড়ের গোশ্ত লোহার মত আর কপাল ব্রোঞ্জের মত।
5. সেইজন্য অনেক আগেই আমি তোমাদের এই সব বলেছিলাম আর তা ঘটবার আগেই তোমাদের কাছে ঘোষণা করেছিলাম, যাতে তোমরা বলতে না পার, ‘আমাদের মূর্তিগুলো এই সব করেছে, আমাদের খোদাই করা মূর্তি আর ছাঁচে ঢালা মূর্তি এই সব হুকুম দিয়েছে।’
6. তোমরা এই সব শুনেছ; সেই সমসে-র দিকে তোমরা তাকিয়ে দেখ। তোমরা কি তা মেনে নেবে না?“এখন থেকে আমি তোমাদের নতুন নতুন বিষয়ের কথা বলব যা তোমাদের অজানা ও গোপন বিষয়।
7. সেগুলো অনেক দিন আগে নয়, এখনই সৃষ্ট হয়েছে; আজকের আগে তোমরা সেই সব শোন নি। কাজেই তোমরা বলতে পারবে না, ‘জ্বী, আমরা তা জানতাম।’
8. তোমরা তা শোন নি এবং বুঝতেও পার নি; আগে থেকে তোমাদের কান খোলা হয় নি। তোমরা যে কেমন বেঈমান তা আমি জানি, জন্ম থেকেই তোমাদের বিদ্রোহী বলা হয়।
9. আমার নিজের সুনামের জন্যই আমার রাগকে আমি দমন করে রেখেছি; আমার প্রশংসার জন্য আমি তা বাধা দিয়ে রেখেছি যাতে তোমাদের শেষ করে ফেলা না হয়।
10. দেখ, আমি তোমাদের আগুনে ফেলেছি, কিন্তু তোমরা রূপার মত খাঁটি হয়ে বের হও নি; দুঃখের চুলাতে আমি তোমাদের যাচাই করেছি।
11. আমি যা কিছু করি তা আমার নিজের জন্য, কেবল আমার নিজের জন্যই করি। আমার নিজের অগৌরব আমি কি করে হতে দিতে পারি? আমার গৌরব আমি অন্যকে পেতে দিতে পারি না।
12. “হে ইয়াকুব, হে আমার বেছে নেওয়া ইসরাইল, তোমরা আমার কথা শোন। আমিই তিনি; আমিই প্রথম এবং আমিই শেষ।
13. আমি নিজের হাতে দুনিয়ার ভিত্তি স্থাপন করেছি আর ডান হাতে আসমানকে বিছিয়ে দিয়েছি; আমি ডাকলে এদের সবাই একসংগে দাঁড়ায়।
14. “তোমরা সকলে একত্র হয়ে শোন। মূর্তিগুলোর মধ্যে কোন্টা এই সব বিষয় আগেই বলেছে? ব্যাবিলনের বিরুদ্ধে মাবুদের বেছে নেওয়া বান্দা তার নিজের ইচ্ছা পূর্ণ করবে; মাবুদের হাত ব্যাবিলনীয়দের বিরুদ্ধে উঠবে।