14. সিয়োনের গুনাহ্গার বান্দারা ভীষণ ভয় পেয়েছে; আল্লাহ্র প্রতি ভয়হীন লোকদের কাঁপুনি ধরেছে। তারা বলছে, “আমাদের মধ্যে কে পুড়িয়ে ফেলা আগুনের সংগে থাকতে পারে? কে চিরকাল জ্বলতে থাকা আগুনের সংগে বাস করতে পারে?”
15. সে-ই বাস করতে পারে, যে লোক সৎভাবে চলাফেরা করে ও যা ঠিক তা বলে, যে লোক জুলুম করে লাভ করা ঘৃণা করে ও ঘুষ নেওয়া থেকে হাত সরিয়ে রাখে, যে লোক খুনের ষড়যন্ত্রের কথা শোনা থেকে কান বন্ধ করে রাখে আর খারাপ কাজ করতে দেখা থেকে চোখ বন্ধ করে রাখে।
16. সেই লোক নিরাপদে বাস করবে এবং তার আশ্রয় হবে পাহাড়ী কেল্লা। তাকে খাবারের যোগান দেওয়া হবে আর সে নিশ্চয়ই পানি পাবে।
17. তোমার চোখ বাদশাহ্কে তাঁর জাঁকজমকের মধ্যে দেখতে পাবে, আর দেখতে পাবে এমন একটা দেশ যার সীমানা অনেক বড়।
18. তোমার চিন্তার মধ্যে থাকবে আগের সেই ভীষণ ভয়ের কথা। তুমি ভাববে, “কোথায় সেই হিসাব-রক্ষক? কোথায় সেই লোক, যে খাজনা আদায় করত? কোথায় কেল্লার ভার-পাওয়া সেই কর্মচারী?”
19. সেই দেমাক-ভরা লোকদের তুমি আর দেখবে না; দেখবে না সেই অজানা ভাষা বলা লোকদের, যাদের কথা অদ্ভুত আর বুঝা যায় না।
20. আমাদের সব ঈদ পালনের শহর সিয়োনের দিকে চেয়ে দেখ। তোমার চোখ দেখবে জেরুজালেমকে, একটা শান্তিপূর্ণ বাসস্থানকে, একটা তাম্বুকে যা সরানো হবে না। তার গোঁজগুলো কখনও তোলা হবে না আর তার কোন দড়িও ছিঁড়বে না।
21. সেখানে শক্তিশালী মাবুদ আমাদের ভালোর জন্য থাকবেন। সেখানে বড় বড় নদী ও খাল থাকবে। কোন দাঁড়ের নৌকা সেখানে চলবে না; কোন শক্তিশালী জাহাজও তার উপর দিয়ে যাবে না।
22. মাবুদই আমাদের ন্যায়বিচারক ও আমাদের আইনদাতা; মাবুদই আমাদের বাদশাহ্, তিনিই আমাদের রক্ষা করবেন।
23. এখন তোমার পালের দড়াদড়ি ঢিলে হয়ে গেছে; তাতে মাস্তুলটা শক্ত করে আট্কানো নেই, পালও খাটানো যায় নি। পরে লুটের প্রচুর জিনিস ভাগ করা হবে; এমন কি, খোঁড়ারাও লুটের মাল নিয়ে যাবে।
24. সিয়োনে বাসকারী কেউ বলবে না, “আমি অসুস্থ।” যারা সেখানে বাস করে তাদের গুনাহ্ মাফ করা হবে।