ইশাইয়া 14:6-18 Kitabul Mukkadas (MBCL)

6. জুলুমবাজ ভীষণ রাগ করে জাতিদের অনবরত আঘাত করত, রাগে সে বারবার তাদের জুলুম করে দমন করত।

7. এখন সমস্ত দুনিয়া রেহাই ও শান্তি পেয়েছে; সেইজন্য তারা আনন্দে গান গাইছে।

8. এমন কি, বেরস আর লেবাননের এরস গাছও আনন্দের সংগে ব্যাবিলনের বাদশাহ্‌কে বলছে, ‘এখন তোমাকে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে কোন কাঠুরেই আর আমাদের কাটতে আসে না।’

9. “তুমি মৃতস্থানে আসছ বলে মৃতস্থানের লোকেরা তোমার সংগে দেখা করবার জন্য ভীষণ অস্থির হয়ে উঠেছে। তাই মৃতদের রূহ্‌ উঠছে যেন তারা তোমার সংগে দেখা করতে পারে। যারা এই দুনিয়ার নেতা ছিল তারা সবাই উঠছে; যারা জাতিদের উপরে বাদশাহ্‌ ছিল তারা সবাই তাদের সিংহাসন থেকে উঠছে।

10. তারা সবাই তোমাকে ডেকে বলবে, ‘তুমিও আমাদের মত দুর্বল হয়ে পড়েছ; তুমি আমাদের মতই হয়েছ।’

11. “তোমার সব জাঁকজমক মৃতস্থানে নামিয়ে আনা হয়েছে; তার সংগে তোমার সব বীণার শব্দ নামানো হয়েছে। তোমার নীচে ছড়িয়ে রয়েছে পোকা আর সেগুলো তোমাকে ঢেকে ফেলেছে।

12. হে শুকতারা, ভোরের সন্তান, তুমি তো আসমান থেকে পড়ে গেছ। তুমি একদিন জাতিদের পরাজিত করেছ আর তোমাকেই এখন দুনিয়াতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

13. তুমি মনে মনে বলেছ, ‘আমি বেহেশতে উঠব, আল্লাহ্‌র তারাগুলোর উপরে আমার সিংহাসন উঠাব; যেখানে দেবতারা জমায়েত হয় উত্তর দিকের সেই পাহাড়ের উপরে আমি সিংহাসনে বসব।

14. আমি মেঘের মাথার উপরে উঠব; আমি আল্লাহ্‌তা’লার সমান হব।’

15. কিন্তু তোমাকে মৃতস্থানে নামানো হয়েছে, জ্বী, সেই গর্তের সব চেয়ে নীচু জায়গায় নামানো হয়েছে।

16. যারা তোমাকে দেখে তারা তোমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তারা তোমার অবস্থা দেখে বলে, ‘যে দুনিয়াকে নাড়াত আর রাজ্যগুলোকে কাঁপাত এ কি সেই লোক?

17. এ কি সে, যে দুনিয়াকে মরুভূমির মত করত, শহরগুলোকে উল্টে ফেলত, আর বন্দীদের বাড়ী ফিরে যেতে দিত না?’

18. “জাতিদের সব বাদশাহ্‌ সম্মানের সংগে নিজের নিজের কবরে শুয়ে আছেন।

ইশাইয়া 14