ইশাইয়া 13:3-14 Kitabul Mukkadas (MBCL)

3. আমার পবিত্র বান্দাদের আমি হুকুম দিয়েছি; আমার রাগ ঢেলে দেবার জন্য আমি আমার যোদ্ধাদের ডেকেছি। আমার গৌরব প্রকাশিত হয়েছে বলে তারা আনন্দে গর্ব করছে।”

4. শোন, পাহাড়-পর্বতের উপরে অনেক লোকের ভিড়ের শব্দ হচ্ছে। শোন, সমস্ত জাতির ও রাজ্যের লোকেরা একসংগে জমায়েত হয়ে গোলমাল করছে। আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন যুদ্ধের জন্য একটা সৈন্যদল সাজাচ্ছেন।

5. তারা দূর দেশ থেকে আসছে, তারা দুনিয়ার শেষ সীমা থেকে আসছে; মাবুদ তাঁর রাগের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গোটা দুনিয়াটাকে ধ্বংস করবার জন্য আসছেন।

6. তোমরা জোরে জোরে কাঁদ, কারণ মাবুদের দিন কাছে এসে গেছে; সেই দিন সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে ধ্বংস আসবে।

7. সেইজন্য সকলের হাত নিসে-জ হয়ে পড়বে আর সমস্ত লোক সাহস হারাবে।

8. তারা ভীষণ ভয় পাবে, তাদের ব্যথা ও দারুণ যন্ত্রণা হবে, প্রসবকারিণীর মত তারা ব্যথায় মোচড়াবে, তারা বুদ্ধিহারা হয়ে একে অন্যের দিকে তাকাবে এবং তাদের মুখ আগুনের শিখার মত হবে।

9. দেখ, মাবুদের দিন আসছে। তা নিষ্ঠুরতা, উপ্‌চে পড়া গজব ও জ্বলন্ত রাগ নিয়ে আসছে; দুনিয়াকে ধ্বংসস্থান করবার জন্য আর তার মধ্যেকার গুনাহ্‌গারদের বিনষ্ট করবার জন্য আসছে।

10. তখন আসমানের তারা ও নক্ষত্রপুঞ্জ নূর দেবে না; সূর্য উঠবার সময়েও অন্ধকার থাকবে আর চাঁদও আলো দেবে না।

11. মাবুদ বলছেন, “আমি খারাপীর জন্য দুনিয়াকে শাস্তি দেব; দুষ্টদের অন্যায়ের জন্য তাদের শাস্তি দেব। আমি গর্বিতদের বড়াই করা শেষ করে দেব আর নিষ্ঠুরদের অহংকার ভেংগে দেব।

12. তখন আমি মানুষকে পাওয়া খাঁটি সোনা পাওয়ার চেয়েও কঠিন করব, ওফীরের সোনা পাওয়ার চেয়ে আরও বেশী কঠিন করব।

13. সেইজন্য আমি আসমানকে কাঁপাব; আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনের উপ্‌চে পড়া গজবে তাঁর জ্বলন্ত রাগের দিনে দুনিয়া তার জায়গা থেকে নড়ে যাবে।

14. “শিকারের জন্য তাড়ানো হরিণের মত, রাখাল ছাড়া ভেড়ার মত প্রত্যেকে তার নিজের লোকদের কাছে ফিরে যাবে, প্রত্যেকে তার নিজের দেশে পালিয়ে যাবে।

ইশাইয়া 13