ইবরানী 9:5-14 Kitabul Mukkadas (MBCL)

5. সেই সিন্দুকের উপরে আল্লাহ্‌র মহিমায় পূর্ণ দু’টি সোনার কারুবী ছিল। তাদের ডানাগুলো সেই সিন্দুকের ঢাকনার উপরে মেলে দেওয়া ছিল। এই ঢাকনার উপর গুনাহ্‌ ঢাকা দেওয়া হত। অবশ্য এই সবের খুঁটিনাটির কথা বলা এখন সম্ভব নয়।

6. এইভাবে সব কিছু তৈরী হবার পর ইমামেরা প্রায়ই তাম্বুর প্রথম অংশটিতে ঢুকে আল্লাহ্‌র এবাদত-কাজ করতেন;

7. কিন্তু দ্বিতীয় অংশটিতে, অর্থাৎ মহাপবিত্র স্থানে কেবলমাত্র মহা-ইমামই ঢুকতেন। বছরে মাত্র একবারই তিনি কোরবানী করা পশুর রক্ত নিয়ে সেখানে ঢুকতেন। তাঁর নিজের গুনাহের জন্য এবং লোকেরা না জেনে যে সব গুনাহ্‌ করেছে তার জন্য তিনি এই রক্ত কোরবানী দিতেন।

8. এতে পাক-রূহ্‌ দেখিয়ে দিচ্ছেন যে, যতদিন এই এবাদত-তাম্বুটা থাকবে ততদিন সেই মহাপবিত্র স্থানে ঢুকবার পথ খোলা থাকবে না।

9. বর্তমান কালের জন্য এটা একটা চিহ্ন যা আমাদের বলে দিচ্ছে যে, কোরবানী দেওয়া পশু এবং অন্যান্য জিনিস এবাদতকারীর বিবেককে পরিষ্কার করতে পারে না।

10. সেগুলো কেবল শরীরের ব্যাপার, অর্থাৎ খাওয়া-দাওয়া ও শরীয়ত মত পাক-সাফ হবার ব্যাপার মাত্র। কেবল সব কিছু সংশোধনের সময় পর্যন্ত সেগুলো কাজে লেগেছিল।

11. কিন্তু মসীহ্‌ এসেছিলেন ভবিষ্যতের সব উন্নতির বিষয়ের মহা-ইমাম হয়ে। আরও মহৎ ও আরও ভাল এবাদত-তাম্বুতে আল্লাহ্‌র এবাদত-কাজ করবার জন্য তিনি এসেছিলেন। এই তাম্বু মানুষের হাতে তৈরী নয়, অর্থাৎ তা দুনিয়ার কোন জিনিস নয়।

12. ছাগল ও বাছুরের রক্ত নিয়ে মসীহ্‌ সেই মহাপবিত্র স্থানে ঢোকেন নি। তিনি নিজের রক্ত নিয়ে একবারই সেখানে ঢুকেছিলেন। এইভাবে তিনি চিরকালের জন্য গুনাহ্‌ থেকে মুক্তির উপায় করলেন।

13. যারা নাপাক হত তাদের উপর ছাগল ও ষাঁড়ের রক্ত বা বাছুর-পোড়ানো ছাই ছিটানো হত; তাতে তাদের বাইরের শরীরটাই কেবল পাক-সাফ হয়ে পরিষ্কার হত।

14. কিন্তু যিনি অনন্ত পাক-রূহের মধ্য দিয়ে আল্লাহ্‌র কাছে নিজেকে নিখুঁত কোরবানী হিসাবে দান করলেন সেই ঈসার রক্ত আমাদের বিবেককে নিষ্ফল কাজকর্ম থেকে আরও কত না বেশী করে পাক-সাফ করবে, যাতে আমরা জীবন্ত আল্লাহ্‌র এবাদত করতে পারি!

ইবরানী 9