ইবরানী 7:6-20 Kitabul Mukkadas (MBCL)

6. কিন্তু এই মাল্‌কীসিদ্দিক লেবির বংশধর না হয়েও ইব্রাহিমের কাছ থেকে দশ ভাগের এক ভাগ আদায় করেছিলেন এবং যাঁর কাছে আল্লাহ্‌ ওয়াদা করেছিলেন সেই ইব্রাহিমকে দোয়াও করেছিলেন।

7. এতে কোন সন্দেহ নেই যে, দোয়া যে পায় তার চেয়ে যিনি দোয়া করেন তিনিই মহান।

8. একদিকে দেখা যাচ্ছে, মৃত্যুর অধীন লেবীয়রাই দশ ভাগের এক ভাগ আদায় করে; কিন্তু অন্য দিকে দেখা যাচ্ছে, যিনি জীবিত আছেন বলে সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে তিনি, অর্থাৎ মাল্‌কীসিদ্দিকই দশ ভাগের এক ভাগ আদায় করছেন।

9. এতে এমনও বলা চলে যে, লেবির বংশের যিনি দশ ভাগের এক ভাগ আদায় করেন তিনিও ইব্রাহিমের মধ্য দিয়ে মাল্‌কীসিদ্দিককে দশ ভাগের এক ভাগ দিয়েছিলেন;

10. কারণ ইব্রাহিমের সংগে যখন মাল্‌কীসিদ্দিকের দেখা হয়েছিল তখন এই লেবি তাঁর পূর্বপুরুষ ইব্রাহিমের শরীরের মধ্যে ছিলেন।

11. যাঁরা ইমামের কাজ করতেন সেই লেবির বংশধরদের কাজের উপর ভিত্তি করে আল্লাহ্‌ ইসরাইলীয়দের তাঁর শরীয়ত দিয়েছিলেন। লেবির বংশের ইমামদের কাজের মধ্য দিয়ে যদি পূর্ণতা লাভ করা যেত, তবে প্রথম লেবীয় ইমাম হারুনের বদলে মাল্‌কীসিদ্দিকের মত অন্য আর একজন ইমামের আসবার কি দরকার ছিল?

12. যখন ইমামের পদ বদলানো হয় তখন শরীয়তও বদলাবার দরকার হয়।

13. যাঁর বিষয়ে আমি এই সব কথা বলছি সেই ঈসা লেবির বংশ থেকে আসেন নি বরং অন্য এক বংশ থেকে এসেছিলেন। সেই বংশের কেউ কখনও ইমাম হিসাবে কোরবানগাহের উপর পশু কোরবানী দেন নি।

14. এটা স্পষ্ট যে, আমাদের প্রভু এহুদার বংশ থেকে এসেছিলেন। এই বংশ থেকে কোন লোক যে ইমাম হবে সেই কথা নবী মূসা কখনও বলেন নি।

15. তাহলে যখন মাল্‌কীসিদ্দিকের মত আর একজন ইমাম উপস্থিত হয়েছেন তখন আমরা যা বলেছি তা আরও পরিষ্কার ভাবে বুঝা যাচ্ছে।

16. তাঁর এই ইমাম হবার ব্যাপার বংশ সম্বন্ধে কোন নিয়মের উপর ভরসা করে না, তা তাঁর ধ্বংসহীন জীবনের শক্তির উপর ভরসা করে।

17. পাক-কিতাব এই সাক্ষ্য দেয়,তুমি চিরকালের জন্য মাল্‌কীসিদ্দিকের মত ইমাম।

20. ঈসার ইমাম-পদ আল্লাহ্‌ কসম খেয়ে ঠিক করেছিলেন। লেবির বংশধরেরা ইমাম হবার সময় আল্লাহ্‌ কোন কসম খান নি,

ইবরানী 7