10. আল্লাহ্ ন্যায়বিচারক; তাই তোমাদের কাজ আর তাঁর বান্দাদের সেবা-যত্ন করে তোমরা তাঁকে যে মহব্বত দেখিয়েছ এবং দেখা"ছ, তা তিনি ভুলে যাবেন না।
11. আমরা চাই, তোমরা প্রত্যেকে যেন শেষ পর্যন্ত একই রকম আগ্রহ দেখাও। তাতে তোমরা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত হবে যে, তোমাদের আশা পূর্ণ হবে।
12. আমরা চাই না তোমরা অলস হও; আমরা চাই, যারা ঈমান ও অটল ধৈর্যের দ্বারা আল্লাহ্র ওয়াদা করা দোয়ার অধিকারী হয় তোমরা তাদের মত হও।
13. আল্লাহ্ যখন ইব্রাহিমের কাছে ওয়াদা করেছিলেন তখন তিনি নিজের নামেই কসম খেয়েছিলেন, কারণ তাঁর চেয়ে বড় এমন আর কেউ নেই যার নামে তিনি কসম খেতে পারেন।
14. তিনি এই বলে ওয়াদা করেছিলেন, “আমি নিশ্চয়ই তোমাকে দোয়া করব এবং তোমার বংশ বাড়াব।”
15. এইজন্য ইব্রাহিম যখন অটলভাবে ধৈর্য ধরলেন তখন আল্লাহ্ যা দিতে ওয়াদা করেছিলেন তা তিনি পেলেন।
16. নিজের চেয়ে যিনি মহান তাঁর নামেই মানুষ কসম খায়। তাতে সেই কসম এই নিশ্চয়তা দান করে যে, যা বলা হয়েছে তা সত্যি, আর এতে সব গোলমাল থেমে যায়।
17. আল্লাহ্ যা দেবার ওয়াদা করেছিলেন, যারা তা পাবে তাদের তিনি এই কসমের মধ্য দিয়ে খুব স্পষ্ট করে দেখাতে চেয়েছিলেন যে, তিনি যা ঠিক করেছেন তার আর বদল হয় না। এইজন্য তিনি কসমের দ্বারা প্রমাণ করলেন যে, তিনি যা ঠিক করেছেন তা হবেই হবে।
18. আল্লাহ্র ওয়াদা ও কসম কখনও বদলায় না। আল্লাহ্, যাঁর পক্ষে মিথ্যা বলা সম্ভব নয়, তিনিই এই ওয়াদা করে কসম খেয়েছেন, যেন আমাদের সামনে যে আশা আছে তা আঁকড়ে ধরবার জন্য দৌড়াতে গিয়ে আমরা প্রচুর উৎসাহ পাই।
19. এই আশা আমাদের জীবনে নোংগরের মত নিশ্চিত ও স্থির, আর তা মহাপবিত্র স্থানের পর্দার পিছনে, অর্থাৎ আল্লাহ্র সামনে গিয়ে পৌঁছায়।
20. ঈসাই আমাদের হয়ে আমাদের আগে সেই জায়গায় গেছেন। তিনি চিরকালের জন্য মাল্কীসিদ্দিকের মত মহা-ইমাম হয়েছেন।