ইবরানী 11:10-23 Kitabul Mukkadas (MBCL)

10. কারণ যে শহর চিরস্থায়ী তিনি সেই শহরের অপেক্ষায় ছিলেন। সেই শহরের নক্‌শা তৈরী ও গেঁথে তুলবার কাজ আল্লাহ্‌ই করেছেন।

11. যদিও সারার সন্তান হবার বয়স পার হয়ে গিয়েছিল তবুও ঈমানের জন্যই তিনি ইব্রাহিমের সন্তান গর্ভে ধরবার শক্তি পেয়েছিলেন, কারণ তিনি ঈমান এনেছিলেন, যিনি ওয়াদা করেছেন তিনি বিশ্বাসযোগ্য।

12. এইজন্য বয়সের দরুন অকেজো শরীর নিয়েও ইব্রাহিম আসমানের তারার মত এবং সাগর পারের বালুকণার মত অসংখ্য সন্তানের পিতা হয়েছিলেন।

13. এই সব লোকেরা ঈমানের মধ্যে জীবন কাটিয়ে ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ্‌ তাঁদের যা দেবার ওয়াদা করেছিলেন তা তাঁরা পান নি, কিন্তু দূর থেকে তা দেখেছিলেন এবং খুশীও হয়েছিলেন। এই দুনিয়াতে যে তাঁরা বিদেশী এবং পরদেশে বাসকারী তা তাঁরা স্বীকারও করেছিলেন।

14. যাঁরা তা স্বীকার করেন তাঁরা পরিষ্কার ভাবে বুঝান যে, তাঁরা নিজেদের জন্য একটা দেশের তালাশ করছেন।

15. যে দেশ থেকে তাঁরা বের হয়ে এসেছিলেন যদি সেই দেশের কথা তাঁরা চিন্তা করতেন তবে তো সেই দেশে ফিরে যাবার সব সুযোগই তাঁরা পেতেন।

16. কিন্তু তাঁরা আরও ভাল একটা দেশের, অর্থাৎ বেহেশতের তালাশ করছিলেন। সেইজন্যই আল্লাহ্‌ নিজেকে তাঁদের আল্লাহ্‌ বলতে লজ্জা বোধ করেন না, কারণ তিনি তাঁদেরই জন্য একটা শহর তৈরী করেছিলেন।

17. ইব্রাহিমকে পরীক্ষা করবার সময় তিনি আল্লাহ্‌র উপর ঈমানের জন্যই ইসহাককে কোরবানী দিয়েছিলেন। যাঁর কাছে আল্লাহ্‌ ওয়াদা করেছিলেন তিনিই তাঁর অদ্বিতীয় ছেলেকে কোরবানী দিতে যাচ্ছিলেন।

18. এ সেই ছেলে যাঁর বিষয়ে আল্লাহ্‌ বলেছিলেন, “ইসহাকের বংশকেই তোমার বংশ বলে ধরা হবে।”

19. ইব্রাহিম তাঁকে কোরবানী দিতে রাজী হলেন, কারণ তাঁর ঈমান ছিল যে, আল্লাহ্‌ মৃতকে জীবিত করতে পারেন। আর বলতে কি, ইব্রাহিম তো মৃত্যুর দুয়ার থেকেই ইসহাককে ফিরে পেয়েছিলেন।

20. ঈমান এনেই ইসহাক ভবিষ্যতের জন্য ইয়াকুব ও ইস্‌কে দোয়া করেছিলেন।

21. ঈমান এনেই ইয়াকুব ইন্তেকাল করবার সময় ইউসুফের দুই ছেলেকে দোয়া করেছিলেন আর লাঠির উপর ভর করে আল্লাহ্‌র এবাদত করেছিলেন।

22. ঈমান এনেই ইউসুফ ইন্তেকাল করবার সময়ে মিসর দেশ থেকে বনি-ইসরাইলদের চলে যাবার কথা বলেছিলেন এবং তাঁর মৃতদেহ কি করতে হবে তা-ও বলেছিলেন।

23. মূসার জন্মের পর তাঁর মা-বাবা ঈমান এনেই তিন মাস তাঁকে লুকিয়ে রেখেছিলেন, কারণ তাঁরা দেখেছিলেন ছেলেটি সুন্দর আর তাঁরা বাদশাহ্‌র হুকুমের ভয় করলেন না।

ইবরানী 11