5. সেইজন্য মসীহ্ এই দুনিয়াতে আসবার সময় আল্লাহ্কে বলেছিলেন,“পশু ও অন্যান্য কোরবানী তুমি চাও না,কিন্তু আমার জন্য একটা শরীর তুমি তৈরী করেছ।
6. পোড়ানো কোরবানীতে এবং গুনাহের কোরবানীতেতুমি সন্তুষ্ট হও নি।
7. পরে আমি বলেছিলাম,‘এই যে, আমি এসেছি;কিতাবে আমার আসার বিষয় লেখা আছে।হে আল্লাহ্, তোমার ইচ্ছা পালন করতে আমি এসেছি।’ ”
8. উপরের কথাগুলোর মধ্যে প্রথমে মসীহ্ বলেছেন, “পশু ও অন্যান্য কোরবানী, পোড়ানো-কোরবানী ও গুনাহের কোরবানী তুমি চাও নি এবং তাতে সন্তুষ্টও হও নি।” যদিও এই কোরবানীগুলো শরীয়তের হুকুম মতই দেওয়া হত তবুও তিনি এই কথা বলেছিলেন।
9. তারপর মসীহ্ বলেছেন, “দেখ, আমি তোমার ইচ্ছা পালন করতে এসেছি।” দ্বিতীয় ব্যবস্থাটা বহাল করবার জন্য তিনি আগের ব্যবস্থাটা বাতিল করে দিলেন।
10. আল্লাহ্র সেই ইচ্ছামতই ঈসা মসীহের শরীর একবারই কোরবানী দেবার দ্বারা আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে আমাদের পাক-পবিত্র করা হয়েছে।
11. প্রত্যেক ইমাম প্রত্যেক দিন দাঁড়িয়ে আল্লাহ্র এবাদত-কাজ করেন ও বারবার একইভাবে কোরবানী দেন, কিন্তু এই রকম কোরবানী কখনও গুনাহ্ দূর করতে পারে না।
12. ঈসা কিন্তু গুনাহের জন্য চিরকালের মত একটি মাত্র কোরবানী দিয়ে আল্লাহ্র ডান দিকে বসলেন।
13. আর তখন থেকে যতদিন না তাঁর শত্রুদের তাঁর পায়ের তলায় রাখা হয় ততদিন পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করছেন,
14. কারণ যাদের পাক-পবিত্র করা হয়েছে ঐ একটি কোরবানীর দ্বারা তিনি চিরকালের জন্য তাদের পূর্ণতা দান করেছেন।
15. পাক-রূহ্ও এই বিষয়ে আমাদের কাছে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। প্রথমে তিনি বলেছেন,
16. মাবুদ বলেন, “পরে আমি তাদের জন্য যে ব্যবস্থা স্থাপন করব তা হল, আমার শরীয়ত আমি তাদের দিলে রাখব এবং তাদের মনের মধ্যে তা লিখে রাখব।”
17. এর পরে পাক-রূহ্ বলেছেন, “আমি তাদের গুনাহ্ ও অন্যায় আর কখনও মনে রাখব না।”