ইবরানী 10:15-34 Kitabul Mukkadas (MBCL)

15. পাক-রূহ্‌ও এই বিষয়ে আমাদের কাছে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। প্রথমে তিনি বলেছেন,

16. মাবুদ বলেন, “পরে আমি তাদের জন্য যে ব্যবস্থা স্থাপন করব তা হল, আমার শরীয়ত আমি তাদের দিলে রাখব এবং তাদের মনের মধ্যে তা লিখে রাখব।”

17. এর পরে পাক-রূহ্‌ বলেছেন, “আমি তাদের গুনাহ্‌ ও অন্যায় আর কখনও মনে রাখব না।”

18. তাই আল্লাহ্‌ যখন গুনাহ্‌ ও অন্যায় মাফ করেন তখন গুনাহের জন্য কোরবানী বলে আর কিছু নেই।

19. ভাইয়েরা, ঈসা মসীহের রক্তের গুণে সেই মহাপবিত্র স্থানে ঢুকবার সাহস আমাদের আছে।

20. মসীহ্‌ আমাদের জন্য একটা নতুন ও জীবন্ত পথ খুলে দিয়েছেন, যেন আমরা পর্দার মধ্য দিয়ে, অর্থাৎ তাঁর শরীরের মধ্য দিয়ে আল্লাহ্‌র সামনে উপস্থিত হতে পারি।

21. এছাড়া আমাদের একজন মহান ইমামও আছেন, যাঁর উপরে আল্লাহ্‌র পরিবারের লোকদের ভার দেওয়া হয়েছে।

22. সেইজন্য ঈমানের মধ্য দিয়ে যে নিশ্চয়তা আসে, এস, আমরা সেই পরিপূর্ণ নিশ্চয়তায় খাঁটি দিলে আল্লাহ্‌র সামনে যাই; কারণ দোষী বিবেকের হাত থেকে আমাদের দিলকে রক্ত ছিটিয়ে পাক-সাফ করা হয়েছে এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে আমাদের শরীরকে ধোয়া হয়েছে।

23. ঈমানদার হিসাবে আমাদের যে আশা আছে, এস, আমরা স্থির হয়ে তার কথা স্বীকার করতে থাকি, কারণ যিনি ওয়াদা করেছেন তিনি বিশ্বাসযোগ্য।

24. এস, আমরা একে অন্যের সম্বন্ধে চিন্তা করি যেন আমরা মহব্বত করতে ও ভাল কাজ করতে একে অন্যকে উৎসাহ দিতে পারি।

25. কোন কোন লোকের যেমন অভ্যাস আছে তাদের মত আমরা যেন সভায় একসংগে মিলিত হওয়া বাদ না দিই, বরং মসীহের আসবার দিন যতই কাছে আসবে ততই যেন আমরা একে অন্যকে আরও উৎসাহ দিতে থাকি।

26. আল্লাহ্‌র সত্যকে জানবার পরে যদি আমরা ইচ্ছা করে গুনাহ্‌ করতে থাকি তবে গুনাহের জন্য আমাদের আর কোন কোরবানী নেই;

27. আছে কেবল বিচারের জন্য ভীষণ ভয়ে অপেক্ষা করে থাকা এবং আল্লাহ্‌র শত্রুদের ছাই করে ফেলবার মত জ্বলন্ত গজব।

28. কেউ মূসার শরীয়ত অস্বীকার করলে কোন মমতা না পেয়েই দুই বা তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ফলে তাকে মরতে হয়।

29. তাহলে ইব্‌নুল্লাহ্‌কে যে ঘৃণা করেছে, যে রক্তে সে পাক-সাফ হয়েছে আল্লাহ্‌র সেই ব্যবস্থার রক্তকে যে অপবিত্র মনে করেছে এবং যিনি রহমত করেন সেই পাক-রূহ্‌কে যে অপমান করেছে, ভেবে দেখ, সে আরও কত বেশী শাস্তির যোগ্য!

30. আমরা তাঁকে জানি যিনি বলেছেন, “অন্যায়ের শাস্তি দেবার অধিকার কেবল আমারই আছে; যার যা পাওনা আমি তাকে তা-ই দেব।” তিনি আর এক জায়গায় বলেছেন, “মাবুদই তাঁর বান্দাদের প্রতি ন্যায়বিচার করবেন।”

31. জীবন্ত আল্লাহ্‌র হাতে পড়া কি ভয়ংকর ব্যাপার!

32. আগের দিনগুলোর কথা মনে করে দেখ। তখন নূর পেয়ে দুঃখভোগের ভীষণ কষ্টের মধ্যেও তোমরা স্থির ছিলে।

33. কোন কোন সময় সকলের সামনে অপমান ও অত্যাচার সহ্য করে তোমরা ঠাট্টার পাত্র হয়ে দুঃখভোগ করেছিলে; যাদের উপর ঐ রকম ব্যবহার করা হয়েছিল তাদের সংগে দুঃখভোগ করেছিলে;

34. আর যারা জেলে গিয়েছিল তাদের দুঃখে দুঃখী হয়েছিলে। তোমাদের জিনিসপত্র লুট হয়ে যাওয়া তোমরা আনন্দের সংগেই মেনে নিয়েছিলে, কারণ তোমরা জানতে যে, আরও ভাল ও স্থায়ী ধন তোমাদের জন্য রয়েছে।

ইবরানী 10