37. এতে এই কথা প্রমাণ হয় যে, ‘একজন বোনে আর অন্য একজন কাটে।’
38. আমি তোমাদের এমন ফসল কাটতে পাঠালাম যার জন্য তোমরা পরিশ্রম কর নি। অন্যেরা পরিশ্রম করেছে আর তোমরা সেই পরিশ্রমের ফসল কেটেছ।”
39. যে স্ত্রীলোকটি এই বলে সাক্ষ্য দিচ্ছিল যে, সে যা করেছে সবই তিনি তাকে বলে দিয়েছেন, তার কথা শুনে সেই গ্রামের অনেক সামেরীয় লোক ঈসার উপর ঈমান আনল।
40. তারা ঈসার কাছে গিয়ে তাঁকে তাদের সংগে থাকতে অনুরোধ করল। সেইজন্য ঈসা সেখানে দু’দিন থাকলেন।
41. তখন তাঁর কথা শুনে আরও অনেক লোক ঈমান আনল।
42. সেই স্ত্রীলোকটিকে তারা বলল, “এখন যে আমরা ঈমান এনেছি তা তোমার কথাতে নয়, কিন্তু আমরা নিজেরাই তাঁর কথা শুনে বুঝতে পেরেছি যে, উনি সত্যিই মানুষের নাজাতদাতা।”
43-44. ঈসা বলেছিলেন যে, নিজের দেশে নবীর সম্মান নেই; সেই কথা পূর্ণ হবার জন্য সামেরিয়াতে দু’দিন থাকবার পর তিনি সেখান থেকে গালীল প্রদেশে চলে গেলেন।
45. ঈদের সময় ঈসা জেরুজালেমে যা কিছু করেছিলেন, গালীলের লোকেরা সেই ঈদে গিয়েছিল বলে সব দেখতে পেয়েছিল। এইজন্য ঈসা যখন গালীলে গেলেন তখন সেখানকার লোকেরা তাঁকে গ্রহণ করল।
46. পরে ঈসা আবার গালীলের সেই কান্না গ্রামে গেলেন। এখানেই তিনি পানিকে আংগুর-রস করেছিলেন। গালীলের কফরনাহূম শহরে একজন রাজকর্মচারীর ছেলে অসুখে ভুগছিল।
47. ঈসা এহুদিয়া থেকে গালীলে এসেছেন শুনে সেই রাজকর্মচারী তাঁর কাছে গেলেন এবং অনুরোধ করলেন যেন তিনি কফরনাহূমে গিয়ে তাঁর ছেলেকে সুস্থ করেন। তাঁর ছেলেটা তখন মরবার মত হয়েছিল।
48. ঈসা সেই রাজকর্মচারীকে বললেন, “কোন অলৌকিক চিহ্ন বা কোন কুদরতি কাজ না দেখলে আপনারা কোনমতেই ঈমান আনবেন না।”
49. তখন সেই রাজকর্মচারী বললেন, “দয়া করে আমার ছেলেটি মারা যাবার আগেই আসুন।”
50. ঈসা তাঁকে বললেন, “আপনি যান, আপনার ছেলেটি বাঁচল।” এতে তিনি ঈসার কথাতে বিশ্বাস করে চলে গেলেন।