4. ঈসা তাঁর মাকে বললেন, “এই ব্যাপারে তোমার সংগে আমার কি সম্বন্ধ? আমার সময় এখনও হয় নি।”
5. তাঁর মা তখন চাকরদের বললেন, “ইনি তোমাদের যা করতে বলেন তা-ই কর।”
6. ইহুদী শরীয়ত মত পাক-সাফ হবার জন্য সেই জায়গায় পাথরের ছয়টা জালা বসানো ছিল। সেগুলোর প্রত্যেকটাতে কমবেশ পঁয়তাল্লিশ লিটার করে পানি ধরত।
7. ঈসা সেই চাকরদের বললেন, “এই জালাগুলোতে পানি ভরে দাও। চাকরেরা তখন জালাগুলো কানায় কানায় পানি ভরে দিল।
8. তারপর ঈসা তাদের বললেন, “এবার ওখান থেকে অল্প তুলে মেজবানীর কর্তার কাছে নিয়ে যাও।” চাকরেরা তা-ই করল।
9. সেই আংগুর-রস, যা পানি থেকে হয়েছিল, মেজবানীর কর্তা তা খেয়ে দেখলেন। কিন্তু সেই রস কোথা থেকে আসল তা তিনি জানতেন না; তবে যে চাকরেরা পানি তুলেছিল তারা জানত। তাই মেজবানীর কর্তা বরকে ডেকে বললেন,
10. “প্রথমে সকলে ভাল আংগুর-রস খেতে দেয়। তারপর যখন লোকের ইচ্ছামত খাওয়া শেষ হয় তখন যে রস দেয় তা আগের চেয়ে কিছু খারাপ। কিন্তু তুমি ভাল আংগুর-রস এখনও পর্যন্ত রেখেছ।”
11. ঈসা গালীল প্রদেশের কান্না গ্রামে চিহ্ন হিসাবে এই প্রথম অলৌকিক কাজ করে নিজের মহিমা প্রকাশ করলেন। এতে তাঁর সাহাবীরা তাঁর উপর ঈমান আনলেন।
12. তারপর ঈসা, তাঁর মা, তাঁর ভাইয়েরা ও তাঁর সাহাবীরা কফরনাহূম শহরে গেলেন, কিন্তু বেশী দিন তাঁরা সেখানে থাকলেন না।
13. ইহুদীদের উদ্ধার-ঈদের সময় কাছে আসলে পর ঈসা জেরুজালেমে গেলেন।
14. তিনি সেখানে দেখলেন, লোকেরা বায়তুল-মোকাদ্দসের মধ্যে গরু, ভেড়া আর কবুতর বিক্রি করছে এবং টাকা বদল করে দেবার লোকেরাও বসে আছে।
15. এই সব দেখে তিনি দড়ি দিয়ে একটা চাবুক তৈরী করলেন, আর তা দিয়ে সমস্ত গরু, ভেড়া এবং লোকদেরও সেখান থেকে তাড়িয়ে দিলেন। টাকা বদল করে দেবার লোকদের টাকা-পয়সা ছড়িয়ে দিয়ে তিনি তাদের টেবিলগুলো উল্টে ফেললেন।
16. যারা কবুতর বিক্রি করছিল ঈসা তাদের বললেন, “এই জায়গা থেকে এই সব নিয়ে যাও। আমার পিতার ঘরকে ব্যবসার ঘর কোরো না।”
17. এতে পাক-কিতাবে লেখা এই কথাটা তাঁর সাহাবীদের মনে পড়ল:তোমার ঘরের জন্য আমার যে গভীর ভালবাসা,সেই ভালবাসাই আমার দিলকে জ্বালিয়ে তুলবে।
18. তখন ইহুদী নেতারা ঈসাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কিন্তু এই সব করবার অধিকার যে তোমার সত্যিই আছে তার প্রমাণ হিসাবে তুমি কি অলৌকিক কাজ আমাদের দেখাতে পার?”
19. জবাবে ঈসা তাঁদের বললেন, “আল্লাহ্র ঘর আপনারা ভেংগে ফেলুন, তিন দিনের মধ্যে আবার আমি তা উঠাব।”