14. সেই কালামই মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করলেন এবং আমাদের মধ্যে বাস করলেন। পিতার একমাত্র পুত্র হিসাবে তাঁর যে মহিমা সেই মহিমা আমরা দেখেছি। তিনি রহমত ও সত্যে পূর্ণ।
15. ইয়াহিয়া তাঁর বিষয়ে জোর গলায় সাক্ষ্য দিয়ে বললেন, “উনিই সেই লোক যাঁর বিষয়ে আমি বলেছিলাম, যিনি আমার পরে আসছেন তিনি আমার চেয়ে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন।”
16. আমরা সকলে তাঁর সেই পূর্ণতা থেকে রহমতের উপরে আরও রহমত পেয়েছি।
17. মূসার মধ্য দিয়ে শরীয়ত দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে রহমত ও সত্য এসেছে।
18. আল্লাহ্কে কেউ কখনও দেখে নি। তাঁর সংগে থাকা সেই একমাত্র পুত্র, যিনি নিজেই আল্লাহ্, তিনিই তাঁকে প্রকাশ করেছেন।
19. যখন ইহুদী নেতারা জেরুজালেম শহর থেকে কয়েকজন ইমাম ও লেবীয়কে ইয়াহিয়ার কাছে পাঠালেন তখন ইয়াহিয়া তাঁদের কাছে সাক্ষ্য দিলেন। তাঁরা জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কে?”
20. জবাবে ইয়াহিয়া অস্বীকার করলেন না বরং স্বীকার করে বললেন, “আমি মসীহ্ নই।”
21. তখন তাঁরা ইয়াহিয়াকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তবে কে? আপনি কি নবী ইলিয়াস?”তিনি বললেন, “না, আমি ইলিয়াস নই।”তাঁরা বললেন, “তাহলে আপনি কি সেই নবী?”জবাবে তিনি বললেন, “না।”
22. তখন তাঁরা তাঁকে বললেন, “তাহলে আপনি কে? যাঁরা আমাদের পাঠিয়েছেন ফিরে গিয়ে তাঁদের তো আমাদের জবাব দিতে হবে। আপনার নিজের সম্বন্ধে আপনি নিজে কি বলেন?”
23. ইয়াহিয়া বললেন, “আমিই সেই কণ্ঠস্বর, যার বিষয়ে নবী ইশাইয়া বলেছেন,মরুভূমিতে একজনের কণ্ঠস্বর চিৎকার করে জানাচ্ছে,তোমরা মাবুদের পথ সোজা কর।”
24. ইয়াহিয়ার কাছে যাঁদের পাঠানো হয়েছিল তাঁরা ছিলেন ফরীশী।
25. তাঁরা ইয়াহিয়াকে জিজ্ঞাসা করলেন, “যদি আপনি মসীহ্ও নন, ইলিয়াসও নন কিংবা সেই নবীও নন, তবে কেন আপনি তরিকাবন্দী দিচ্ছেন?”
26. ইয়াহিয়া জবাবে সেই ফরীশীদের বললেন, “আমি পানিতে তরিকাবন্দী দিচ্ছি বটে, কিন্তু আপনাদের মধ্যে এমন একজন আছেন যাঁকে আপনারা চেনেন না।
27. উনিই সেই লোক যাঁর আমার পরে আসবার কথা ছিল। আমি তাঁর জুতার ফিতাটা পর্যন্ত খুলে দেবার যোগ্য নই।”
28. জর্ডান নদীর অন্য পারে বেথানিয়া গ্রামে যেখানে ইয়াহিয়া তরিকাবন্দী দিচ্ছিলেন সেখানে এই সব ঘটেছিল।
29. পরের দিন ইয়াহিয়া ঈসাকে তাঁর নিজের দিকে আসতে দেখে বললেন, “ঐ দেখ আল্লাহ্র মেষ-শাবক, যিনি মানুষের সমস্ত গুনাহ্ দূর করেন।
30. ইনিই সেই লোক যাঁর বিষয়ে আমি বলেছিলাম, আমার পরে একজন আসছেন যিনি আমার চেয়ে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন।
31. আমি তাঁকে চিনতাম না, কিন্তু তিনি যেন বনি-ইসরাইলদের কাছে প্রকাশিত হন সেইজন্য আমি এসে পানিতে তরিকাবন্দী দিচ্ছি।”
32. তারপর ইয়াহিয়া এই সাক্ষ্য দিলেন, “আমি পাক-রূহ্কে কবুতরের মত হয়ে আসমান থেকে নেমে এসে তাঁর উপরে থাকতে দেখেছি।