5. আমি আমার সংগের লোকজন নিয়ে শহরের দিকে এগিয়ে যাব। তারা যখন আগের বারের মত আমাদের সংগে যুদ্ধ করবার জন্য বের হয়ে আসবে তখন আমরা তাদের সামনে থেকে পালিয়ে যাব।
6. তারা আমাদের পিছনে তাড়া করবে, বলবে, ‘ওরা আগের মতই আমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।’ এইভাবে আমরা শহর থেকে তাদের দূরে নিয়ে যাব। আমরা যখন তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাব,
7. তখন তোমরা সেই গোপন জায়গা থেকে উঠে গিয়ে শহরটা দখল করে নেবে। তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ই সেটা তোমাদের হাতে তুলে দেবেন।
8. তোমরা শহরটা দখল করে নিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দেবে। মাবুদ যা হুকুম দিয়েছেন তোমরা তা-ই করবে। তোমাদের উপর এই আমার হুকুম।”
9. এর পর ইউসা তাদের পাঠিয়ে দিলেন। তারা গিয়ে অয় শহরের পশ্চিম দিকে একটা জায়গায় লুকিয়ে থাকল। জায়গাটা ছিল বেথেল আর অয়ের মাঝামাঝি। ইউসা কিন্তু সেই রাতটা বাকী সৈন্যদের সংগেই কাটালেন।
30-31. এর পর বনি-ইসরাইলদের কাছে দেওয়া মাবুদের গোলাম মূসার হুকুম অনুসারে ইউসা এবল পাহাড়ের উপরে বনি-ইসরাইলদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে একটা কোরবানগাহ্ তৈরী করলেন। মূসার তৌরাত কিতাবে যেমন লেখা আছে সেই অনুসারেই তিনি তা তৈরী করলেন। কোরবানগাহ্টি তৈরী করতে কোন পাথর কেটে নেওয়া হয় নি এবং তার উপর কোন লোহার যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করা হয় নি। সেই কোরবানগাহের উপর বনি-ইসরাইলরা মাবুদের উদ্দেশে পোড়ানো এবং যোগাযোগ-কোরবানী দিল।
32. এবল পাহাড়ের উপরে বনি-ইসরাইলদের সামনে ইউসা পাথরের উপরে মূসার শরীয়ত লিখলেন।
33. বনি-ইসরাইলরা এবং তাদের মধ্যে বাসকারী অন্য জাতির লোকেরা, তাদের বৃদ্ধ নেতারা, কর্মচারীরা এবং বিচারকর্তারা, অর্থাৎ ইসরাইলীয় সমাজের সমস্ত লোক মাবুদের সাক্ষ্য-সিন্দুকের দুই পাশে দাঁড়িয়ে ছিল; তারা সিন্দুক বহনকারী লেবীয় ইমামদের সামনে ছিল। তাদের অর্ধেক লোক দাঁড়াল গরিষীম পাহাড়ের সামনে আর অর্ধেক লোক দাঁড়াল এবল পাহাড়ের সামনে। মাবুদের গোলাম মূসা এই কথা আগেই বলেছিলেন যখন তিনি বনি-ইসরাইলদের উপর দোয়া করবার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
34. তারপর ইউসা তৌরাত কিতাবে যে সমস্ত দোয়া এবং বদদোয়ার কথা লেখা ছিল তা হুবহু তেলাওয়াত করে শোনালেন।
35. মূসা এই ব্যাপারে যে সব হুকুম দিয়েছিলেন তার একটি শব্দও বাদ না দিয়ে ইউসা গোটা ইসরাইল সমাজকে তা তেলাওয়াত করে শোনালেন। এই সমাজের মধ্যে স্ত্রীলোক, ছেলেমেয়ে এবং তাদের মধ্যে বাস করা অন্য জাতির লোকেরাও ছিল।