8. “তোমাদের প্রচুর ধন-সম্পদ হয়েছে, যেমন পশুর বড় বড় পাল, সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ, লোহা ও অনেক কাপড়-চোপড়। এগুলো নিয়ে এবার তোমরা তোমাদের বাড়ীতে ফিরে যাও। তোমাদের শত্রুদের কাছ থেকে লুট করা এই সব জিনিস তোমরা তোমাদের ভাইদের সংগে ভাগ করে নিয়ো।”
9. কাজেই মাবুদ মূসাকে যে হুকুম দিয়েছিলেন সেই অনুসারে রূবেণ ও গাদ-গোষ্ঠীর সবাই এবং মানশা-গোষ্ঠীর অর্ধেক লোক নিজেদের জন্য যে জায়গা পেয়েছিল সেই গিলিয়দ এলাকায় ফিরে যাবার জন্য কেনান দেশে শীলোতে বনি-ইসরাইলদের কাছ থেকে বিদায় নিল।
10. তারপর তারা কেনান দেশের জর্ডান এলাকায় উপস্থিত হয়ে নদীর কাছেই সকলের চোখে পড়বার মত বড় একটা কোরবানগাহ্ তৈরী করল।
11. বাকী বনি-ইসরাইলরা যখন শুনল যে, তাদের জায়গায় কেনান দেশের সীমায় জর্ডান এলাকার নদীর কাছে তারা একটা কোরবানগাহ্ তৈরী করেছে,
12. তখন বাকী বনি-ইসরাইলরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবার জন্য শীলোতে জমায়েত হল।
13. তারা ইমাম ইলিয়াসরের ছেলে পীনহসকে গিলিয়দে রূবেণ ও গাদ-গোষ্ঠীর লোকদের এবং মানশা-গোষ্ঠীর অর্ধেক লোকদের কাছে পাঠাল।
14. তারা তাদের প্রত্যেক গোষ্ঠী থেকে একজন করে মোট দশজন নেতাকে পীনহসের সংগে পাঠাল। এই দশজনের প্রত্যেকে ছিলেন ইসরাইলীয় বংশের কর্তা।
15. তাঁরা গিলিয়দে রূবেণ ও গাদ-গোষ্ঠীর লোকদের এবং মানশা-গোষ্ঠীর অর্ধেক লোকদের কাছে গিয়ে বললেন,
16. “মাবুদের সমাজের সকলেই বলছেন, ‘আপনারা কেমন করে এইভাবে বনি-ইসরাইলদের আল্লাহ্র সংগে বেঈমানী করলেন? কেমন করে আপনারা আজ মাবুদের পথ থেকে সরে গেলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নিজেদের জন্য এই কোরবানগাহ্ তৈরী করলেন?
17. পিয়োরে আমরা যে গুনাহ্ করেছিলাম তার জন্য মাবুদের সমাজের লোকদের মধ্যে মহামারী দেখা দিয়েছিল; আজও আমরা সেই গুনাহ্ থেকে নিজেদের পাক-সাফ করি নি। সেই গুনাহের ফলে কি আমাদের যথেষ্ট শিক্ষা হয় নি যে,
18. এখন আবার আপনারা মাবুদের পথ থেকে সরে যেতে চাইছেন? আজকে যদি আপনারা মাবুদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন তবে কালকেই তিনি আমাদের গোটা ইসরাইলীয় সমাজের উপর রাগ প্রকাশ করবেন।
19. যে দেশ আপনাদের অধিকারে রয়েছে তা যদি নাপাক হয়ে গিয়ে থাকে তবে আপনারা পার হয়ে মাবুদের দেশে আসুন। এখানে মাবুদের আবাস-তাম্বু রয়েছে। আপনারা আমাদের সংগেই বাস করুন। কিন্তু আমাদের মাবুদ আল্লাহ্র কোরবানগাহ্ ছাড়া আর কোন কোরবানগাহ্ নিজেদের জন্য তৈরী করে মাবুদের এবং আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবেন না।