2. এর মধ্যে জেরিকো শহরের বাদশাহ্র কানে গেল যে, দেশের খোঁজ-খবর নেবার জন্য সন্ধ্যাবেলায় কয়েকজন ইসরাইলীয় এখানে এসেছে।
3. বাদশাহ্ এই কথা শুনে রাহবের কাছে বলে পাঠালেন, “যারা এসে তোমার ঘরে ঢুকেছে তাদের বের করে আন, কারণ তারা গোটা দেশটার খোঁজ-খবর নেবার জন্য এসেছে।”
4. রাহব কিন্তু ঐ দু’জন লোককে লুকিয়ে রেখেছিল। সে বলল, “জ্বী, লোকগুলো আমার এখানে এসেছিল বটে, কিন্তু তারা কোথা থেকে এসেছিল তা আমি জানি না।
5. সন্ধ্যাবেলায় শহরের দরজা বন্ধ করবার একটু আগেই তারা চলে গেছে। তারা কোন্ পথে গেছে তা আমি জানি না। আপনারা এখনই তাদের পিছনে পিছনে গেলে হয়তো তাদের ধরে ফেলতে পারবেন।”
6. আসলে রাহব ঐ দু’জনকে ছাদের উপরে নিয়ে গিয়ে সেখানে তার মেলে দেওয়া মসীনার ডাঁটা দিয়ে ঢেকে রেখেছিল।
7. রাহবের কথা শুনে সেই লোকেরা গোয়েন্দাদের ধরবার জন্য বেরিয়ে পড়ল। জর্ডান নদীর যেখান দিয়ে হেঁটে পার হওয়া যায় তারা সেখানে যাওয়ার পথ ধরে চলল। তারা শহরের বাইরে যাবার সংগে সংগেই শহরের দরজা বন্ধ হয়ে গেল।
17-18. তারা স্ত্রীলোকটিকে বলল, “আমরা যখন এই দেশে আসব তখন এই যে জানালাটা দিয়ে তুমি আমাদের নামিয়ে দিতে যাচ্ছ যদি তাতে এই লাল দড়িটা বাঁধা না থাকে এবং তোমার মা-বাবা, ভাই-বোন আর তোমাদের পরিবারের সবাইকে যদি তোমার বাড়ীতে এনে না রাখ, তবে আমাদের দিয়ে যে কসম তুমি খাইয়ে নিলে তা থেকে আমরা মুক্ত হব।
19. তখন যদি কেউ তোমার বাড়ী থেকে বেরিয়ে রাস্তায় যায় তবে সে নিজেই তার মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে। আমরা তার জন্য দায়ী হব না। কিন্তু যারা তোমার সংগে এই বাড়ীর মধ্যে থাকবে তাদের কারও উপর যদি হাত দেওয়া হয় তবে তার মৃত্যুর জন্য আমরা দায়ী থাকব।
20. তবে যদি তুমি আমাদের এই সব কথা প্রকাশ করে দাও তাহলে তুমি আমাদের দিয়ে যে কসম খাইয়ে নিয়েছ তা থেকে আমরা মুক্ত হব।”
21. জবাবে স্ত্রীলোকটি বলল, “ঠিক আছে, আপনারা যা বললেন তা-ই হোক।” এই বলে স্ত্রীলোকটি তাদের বিদায় দিল আর তারা চলে গেল। সেই লাল দড়িটা রাহব জানালায় বেঁধে রাখল।
22. সেই দু’জন ইসরাইলীয় ঐ জায়গা ছেড়ে পাহাড়ে গেল এবং তিন দিন সেখানে রইল। যারা তাদের ধরতে বের হয়েছিল এর মধ্যে তারা সারা রাস্তায় তাদের খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ফিরে গেল।
23. তারপর সেই দু’জন ইসরাইলীয়ও ফিরে গেল। তারা পাহাড় থেকে নীচে নেমে আসল এবং নদী পার হয়ে নূনের ছেলে ইউসার কাছে গিয়ে তাদের যা যা ঘটেছিল তা সব বলল।