ইউসা 10:17-18-29 Kitabul Mukkadas (MBCL)

2. এতে তিনি ও তাঁর লোকেরা খুব ভয় পেলেন, কারণ গিবিয়োন ছিল রাজধানীর মতই একটা বড় শহর। এটা ছিল অয় শহরের চেয়েও বড় এবং তার সব পুরুষ লোকেরাই ছিল শক্তিশালী।

3. সেইজন্য হেবরনের বাদশাহ্‌ হোহম, যর্মূতের বাদশাহ্‌ পিরাম, লাখীশের বাদশাহ্‌ যাফিয় এবং ইগ্লোনের বাদশাহ্‌ দবীরের কাছে জেরুজালেমের বাদশাহ্‌ অদোনী-সিদ্দিক এই অনুরোধ করে পাঠালেন,

4. “আপনারা এসে আমাকে গিবিয়োন শহরটা আক্রমণ করতে সাহায্য করুন, কারণ তারা ইউসা এবং বনি-ইসরাইলদের সংগে সন্ধি করেছে।”

5. এই কথা শুনে সেই পাঁচজন আমোরীয় বাদশাহ্‌, অর্থাৎ জেরুজালেম, হেবরন, যর্মূত, লাখীশ ও ইগ্লোনের বাদশাহ্‌ তাঁদের সৈন্যদল এক জায়গায় জমায়েত করলেন। তারপর তাঁদের সৈন্যদল নিয়ে তাঁরা এগিয়ে গিয়ে গিবিয়োনের কাছাকাছি ছাউনি ফেললেন এবং শহরটা আক্রমণ করলেন।

6. তখন গিবিয়োনীয়রা গিল্‌গলের ছাউনিতে ইউসার কাছে এই খবর পাঠাল, “আপনার গোলামদের ত্যাগ করবেন না। আপনারা তাড়াতাড়ি এসে আমাদের রক্ষা করুন, আমাদের সাহায্য করুন, কারণ পাহাড়ী এলাকা থেকে আমোরীয় বাদশাহ্‌রা এসে আমাদের বিরুদ্ধে তাদের সৈন্যদল একসংগে জমায়েত করেছে।”

7. এই খবর পেয়ে ইউসা তাঁর গোটা সৈন্যদল নিয়ে গিল্‌গল থেকে এগিয়ে গেলেন। তার মধ্যে ছিল বনি-ইসরাইলদের সমস্ত বীর যোদ্ধারা।

8. মাবুদ ইউসাকে বললেন, “তুমি তাদের ভয় কোরো না; আমি তাদের তোমার হাতে তুলে দিয়েছি। তারা কেউ তোমার সামনে দাঁড়াতে পারবে না।”

9. গিল্‌গল থেকে বেরিয়ে সারা রাত হাঁটবার পর ইউসা হঠাৎ তাদের আক্রমণ করলেন।

17-18. সেই গুহাতে লুকানো অবস্থায় সেই পাঁচজন বাদশাহ্‌কে খুঁজে পাবার খবর যখন ইউসাকে জানানো হল তখন তিনি বললেন, “গুহাটার মুখে বড় বড় পাথর গড়িয়ে দাও এবং সেটা পাহারা দেবার জন্য কয়েকজন লোক দাঁড় করিয়ে রাখ।

19. কিন্তু তোমরা থেমো না; তোমাদের শত্রুদের তাড়া করে নিয়ে যাও, পিছন দিক থেকে তাদের আক্রমণ কর এবং তাদের নিজেদের শহরে ফিরে যেতে দিয়ো না। তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ তোমাদের হাতে তাদের তুলে দিয়েছেন।”

20. এইভাবে ইউসা ও বনি-ইসরাইলরা আমোরীয়দের ধ্বংস করে ফেলল। এতে প্রায় সবাই মারা পড়ল; কিন্তু যে কয়েকজন বাকী ছিল তারা তাদের দেয়াল-ঘেরা শহরে গিয়ে ঢুকল।

21. এর পর বনি-ইসরাইলদের সৈন্যেরা সবাই মক্কেদার ছাউনিতে নিরাপদে ইউসার কাছে ফিরে গেল। বনি-ইসরাইলদের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলবার সাহস পেল না।

22. তারপর ইউসা বললেন, “গুহার মুখ খুলে ঐ পাঁচজন বাদশাহ্‌কে বের করে আমার কাছে নিয়ে এস।”

23. তাতে সেই গুহা থেকে সেই পাঁচজন বাদশাহ্‌কে তারা বের করে নিয়ে আসল। এঁরা ছিলেন জেরুজালেম, হেবরন, যর্মূত, লাখীশ ও ইগ্লোনের বাদশাহ্‌।

24. তারা যখন সেই বাদশাহ্‌দের ইউসার কাছে নিয়ে আসল তখন তিনি সমস্ত বনি-ইসরাইলদের ডাকলেন এবং তাঁর সংগে যে সেনাপতিরা যুদ্ধে গিয়েছিল তাদের বললেন, “তোমরা এখানে এসে ঐ বাদশাহ্‌দের ঘাড়ে তোমাদের পা রাখ।” এতে তারা এগিয়ে গিয়ে ঐ বাদশাহ্‌দের ঘাড়ের উপর তাদের পা রাখল।

25. ইউসা তাদের বললেন, “তোমরা ভয় কোরো না, হতাশ হোয়ো না। তোমরা শক্তিশালী হও ও মনে সাহস আন। তোমরা যে সব শত্রুদের সংগে যুদ্ধ করতে যাবে তাদের সকলের অবস্থা মাবুদ এই রকম করবেন।”

26. তারপর ইউসা সেই বাদশাহ্‌দের হত্যা করে পাঁচটা গাছে তাঁদের টাংগিয়ে দিলেন। বিকাল পর্যন্ত তাঁদের লাশ গাছে টাংগানোই রইল।

27. সূর্য ডুবে যাওয়ার সময় ইউসার হুকুমে লোকেরা গাছ থেকে তাঁদের লাশগুলো নামিয়ে ফেলল এবং যে গুহাতে তাঁরা লুকিয়ে ছিলেন তার মধ্যে সেই দেহগুলো ছুঁড়ে ফেলল। গুহার মুখটা তারা বড় বড় পাথর দিয়ে ঢেকে দিল। সেগুলো আজও সেখানে রয়েছে।

28. ইউসা সেই দিনই মক্কেদা অধিকার করে নিলেন। তিনি সেই শহরের বাদশাহ্‌ ও সমস্ত লোকদের হত্যা করলেন এবং সেখানকার সব প্রাণীদের শেষ করে দিলেন, কাউকেই বাঁচিয়ে রাখলেন না। তিনি জেরিকোর বাদশাহ্‌র যে অবস্থা করেছিলেন মক্কেদার বাদশাহ্‌র অবস্থাও তা-ই করলেন।

29. পরে ইউসা বনি-ইসরাইলদের সকলকে নিয়ে মক্কেদা থেকে লিব্‌নার দিকে এগিয়ে গিয়ে তা আক্রমণ করলেন।

ইউসা 10