4. তারপর আল্লাহ্ মালিক আমাকে আর একটা দর্শন দেখালেন। আল্লাহ্ মালিক শাস্তি দেবার জন্য আগুনকে ডাকলেন। সেই আগুন মহাসমুদ্রকে শুকিয়ে ফেলল এবং ভূমিকে গ্রাস করতে লাগল।
5. তখন আমি মিনতি করে বললাম, “হে আল্লাহ্ মালিক, আমি অনুরোধ করছি তুমি থাম। ইয়াকুব কি করে বাঁচবে? সে তো খুবই ছোট।”
6. তখন আল্লাহ্ মালিক মন ফিরিয়ে বললেন, “ঐ রকমও ঘটবে না।”
7. তারপর মাবুদ আমাকে আর একটা দর্শন দেখালেন। তিনি ওলনদড়ি হাতে নিয়ে ওলনের মাপে তৈরী একটা দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
8. তিনি আমাকে বললেন, “আমোস, তুমি কি দেখতে পাচ্ছ?”জবাবে আমি বললাম, “একটা ওলনদড়ি।”তখন মাবুদ বললেন, “আমার বান্দা ইসরাইলের মধ্যে আমি একটা ওলনদড়ি রাখছি; আমি আর তাদের রেহাই দেব না।
9. ইসহাকের বংশের লোকদের পূজার উঁচু স্থানগুলো আর ইসরাইলের উপাসনার অন্যান্য জায়গাগুলো ধ্বংস করা হবে। আমি তলোয়ার নিয়ে ইয়ারাবিমের বংশের বিরুদ্ধে উঠব।”
10. পরে বেথেলের পুরোহিত অমৎসিয় ইসরাইলের বাদশাহ্ ইয়ারাবিমের কাছে এই খবর পাঠালেন, “আমোস ইসরাইলের মধ্যেই আপনার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র করছে। দেশের লোকেরা তার কোন কথা সহ্য করতে পারছে না।
11. আমোস বলছে, ‘ইয়ারাবিমকে তলোয়ার দিয়ে মেরে ফেলা হবে আর ইসরাইলকে অবশ্যই তার দেশ থেকে বন্দী হয়ে অন্য দেশে যেতে হবে।’ ”
12. তখন অমৎসিয় আমোসকে বললেন, “ওহে নবী, দূর হয়ে যাও। তুমি এহুদা দেশেই চলে যাও। সেখানে নবী হিসাবে কথা বলে তোমার খাবার যোগাড় কর।
13. বেথেলে আর নবী হিসাবে কথা বোলো না, কারণ এটা বাদশাহ্র উপাসনার জায়গা ও রাজবাড়ী।”
14. জবাবে আমোস অমৎসিয়কে বললেন, “আমি নবীও ছিলাম না, নবীর শাগরেদও ছিলাম না; আসলে আমি ছিলাম একজন রাখাল, আর আমি ডুমুর গাছের দেখাশোনাও করতাম।
15. কিন্তু মাবুদ আমাকে ভেড়ার পালের দেখাশোনার কাজ থেকে নিয়ে এসে বললেন, ‘তুমি গিয়ে আমার বান্দা ইসরাইলের কাছে নবী হিসাবে কথা বল।’