4. আমি দুনিয়ার ভিত্তি স্থাপন করবার সময় তুমি কোথায় ছিলে?যদি তোমার বুদ্ধি থাকে তবে বল।
5. তুমি কি জান কে তার পরিমাণ ঠিক করেছে?কে তার উপর মাপের দড়ি ধরেছে?
6. কিসের উপর দুনিয়ার থামগুলো স্থাপন করা হয়েছিল?আর তার কোণের পাথরটাই বা কে স্থাপন করেছিল?
7. তখন তো ভোরের তারাগুলো একসাথে গান গেয়েছিলআর ফেরেশতারা সবাই আনন্দে চেঁচিয়ে উঠেছিল।
8. “যখন দুনিয়ার গর্ভ থেকে সমুদ্র বের হয়ে এসেছিলতখন কে তাকে দরজা দিয়ে বন্ধ করেছিল?
9. তখন আমি মেঘকে তার পোশাক করেছিলাম,আর তাকে ঘন অন্ধকারে জড়িয়ে দিয়েছিলাম।
10. আমি তার সীমা ঠিক করে দিয়েছিলাম;তার দরজা ও আগল আমি স্থাপন করেছিলাম।
11. আমি বলেছিলাম, ‘এই পর্যন্ত, আর নয়;এখানে তোমার গর্বিত ঢেউগুলোকে থামতে হবে।’
12. “তুমি কি কখনও সকালকে হুকুম দিয়েছকিংবা ভোরকে তার পথ দেখিয়ে দিয়েছ,
13. যাতে সে দুনিয়ার কিনারা ধরেদুষ্টদের সেখান থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারে?
14. মাটিতে সীলমোহর করলে যেমন তা আকার পেয়ে স্পষ্ট হয়ে ওঠে,তেমনি দিনের আলো পাহাড়-পর্বতকেপোশাকের ভাঁজের মত স্পষ্ট করে তোলে।
15. দুষ্টদের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়,আর তাদের উঠানো হাত ভাংগা হয়।
16. “সমুদ্রের জন্মস্থানে কি তুমি গিয়েছকিংবা সাগরের তলায় হেঁটেছ?
17. কবরের দরজা কি তোমাকে দেখানো হয়েছে?সেই অন্ধকার জায়গার দরজা কি তুমি দেখেছ?
18. দুনিয়াটা কত বড় তা কি তুমি ধারণা করতে পেরেছ?যদি তুমি এই সব জান তবে বল।
19. “আলোর বাসস্থানে যাওয়ার পথ কোথায়?আর অন্ধকারই বা কোথায় বাস করে?
20. তুমি কি তাদের বাসস্থানে তাদের নিয়ে যেতে পার?তাদের বাড়ী যাবার পথ কি তুমি জান?
21. নিশ্চয়ই জান, তখন তো তোমার জন্ম হয়েছিল।তোমার তো অনেক, অনেক বয়স হয়েছে।