23. কারণ আমি আল্লাহ্র দেওয়া শাস্তির ভয় করি;তাঁর মহিমা এত বেশী যে, তাঁর ভয়ে আমি ঐ সব করতে পারি না।
24. “সোনার উপর যদি আমি ভরসা করে থাকি,কিংবা খাঁটি সোনাকে বলে থাকি, ‘তোমার উপরেই আমার নির্ভরতা,’
25. আমার নিজ হাত দিয়ে যে সম্পদ আমি লাভ করেছিসেই মহাধন নিয়ে যদি আমি আনন্দ করে থাকি,
26. যদি উজ্জ্বল সূর্যের এবং জ্যোৎস্না-ভরা চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকি,
27. আর তাতে যদি আমার দিল গোপনে তাদের দিকে গিয়ে থাকে,তাদের চুম্বন করবার উদ্দেশ্যে যদি আমার হাতে চুম্বন করে থাকি,
28. তাহলে এগুলোও হল শাস্তি পাবার মত গুনাহ্,কারণ তাতে আমি বেহেশতের আল্লাহ্কে অস্বীকার করেছি।
29. “আমার শত্রুর দুর্ভাগ্যে আমি আনন্দ করি নিকিংবা তার কষ্টের সময়ে খুশী হই নি।
30. তার প্রাণের বিরুদ্ধে বদদোয়ার কথা বলেআমার মুখকে আমি গুনাহ্ করতে দিই নি।
31. আমার ঘরের লোকেরা তো এই কথাই বলত,‘হুজুরের দেওয়া গোশ্তে কে না পেট ভরেছে?’
32. কোন বিদেশীকে রাস্তায় রাত কাটাতে হয় নি,কারণ যাত্রীদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা থাকত।
33. অন্যান্য মানুষের মত আমি গুনাহ্ গোপন করে রাখি নিআর আমার দিলে দোষ লুকিয়ে রাখি নি;
34. কাজেই আমি লোকদের ভয় করতাম না,আর আমার বংশের লোকদের ঘৃণার ভয়েআমি ঘরে চুপ করে বসে থাকতাম না।
35. “হায়, আমার কথা যদি কেউ শুনত!আমি সই দিয়ে সাক্ষি দিচ্ছি যে, আমার কথা সত্যি;সর্বশক্তিমান যেন আমাকে জবাব দেন,আমার বিবাদী যেন আমার দোষ লিখে দেখান।
36. আমি নিশ্চয়ই তা আমার কাঁধে লাগিয়ে রাখবআর তাজের মত করে মাথায় পরব।
37. আমার প্রতিটি ধাপের হিসাব আমি তাঁকে দেব;রাজপুত্রের মত আমি তাঁর কাছে এগিয়ে যাব।
38. “আমার জমি যদি আমার বিরুদ্ধে চিৎকার করে ওঠেআর চাষ করা জমি চোখের পানিতে ভিজে ওঠে,
39. যদি আমি দাম না দিয়ে তার ফসল খেয়ে থাকিকিংবা সেখানকার মালিকদের নিষ্ঠুরভাবে যন্ত্রণা দিয়ে থাকি,
40. তবে যেন সেখানে গমের বদলে কাঁটাগাছ গজায়আর যবের বদলে জন্মায় আগাছা।”এখানে আইয়ুবের কথা শেষ হয়েছে।